হুগলির সংশোধনাগারে বেনজির দুষ্কৃতী তাণ্ডব, জেলের ভিতরেই আগুন ধরিয়ে দিল বন্দিরা
হুগলি জেলা সংশোধনাগারে বেনজির দুষ্কৃতী তাণ্ডব। কুখ্যাত দুষ্কৃতী নেপু গিরির জেলবদল রুখতে সংশোধনাগারের ভিতরেই ধুন্ধুমার। জেলের ভিতরেই আগুন ধরিয়ে দিল বন্দিরা। ভাঙচুর চালানো হয় সুপারের ঘরেও।
ওয়েব ডেস্ক: হুগলি জেলা সংশোধনাগারে বেনজির দুষ্কৃতী তাণ্ডব। কুখ্যাত দুষ্কৃতী নেপু গিরির জেলবদল রুখতে সংশোধনাগারের ভিতরেই ধুন্ধুমার। জেলের ভিতরেই আগুন ধরিয়ে দিল বন্দিরা। ভাঙচুর চালানো হয় সুপারের ঘরেও।
দুষ্কতীদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্র হুগলি জেলা সংশোধনাগার। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সন্ধে ছ টা নাগাদ। বন্দি কুখ্যাত দুষ্কৃতী নেপু গিরিকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই খবর পৌছতেই জেলের ভিতর তাণ্ডব শুরু করে দেয় নেপুর সাগরেদরা।
আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় জেলের ভিতর। চলে ভাঙচুর। মারধর করা হয় কারারক্ষীদের।
কিন্তু কে এই নেপু গিরি? যার জন্য এত তাণ্ডব।
হাওড়া, হুগলি এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী নেপু। নেপুর নামে একাধিক খুন, তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে পুলিসের খাতায়। কুখ্যাত দুষ্কৃতী রমেশ মাহাতোর হয়ে কাজ করে সে। এক সময় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হুব্বা শ্যামলের হয়ে কাজ করত নেপু। পরে হুব্বা শ্যামল খুনেও নেপুর নাম জড়ায় ।
গত ২৪ তারিখ নেপুকে গ্রেফতার করে পুলিস। গত ২৫ তারিখ থেকে হুগলি জেলেই ছিল নেপু। নেপুর বেশ কয়েকজন শাগরেদ ও বিরোধী গোষ্ঠীর লোক ওই জেলেই রয়েছে। তাই তাকে হুগলি জেলা সংশোধনাগারে রাখলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আদালতে জানায় জেল কর্তৃপক্ষ। সেইমতো নেপুকে দমদম সেন্ট্রাল জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
আর আদালতের এই নির্দেশই শুরু হয় তাণ্ডব। পাঁচটি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে অবস্থা সামাল দেয়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনায় কারারক্ষী সহ আট জন আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন কারারক্ষী সংগঠনের নেতা সুকুমার মুখার্জি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।