লিঙ্গ নির্ধারণে রাজি না হওয়ায় অত্যাচারিত অন্তঃসত্ত্বা

ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণের পরীক্ষায় রাজি না হওয়ায় এক অন্তঃসত্ত্বার ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালির শান্তিরাম রাস্তায়। অসুস্থ ওই মহিলাকে টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষায় রাজি না হওয়ায় মহিলাকে মারধর করা হয়। পুলিস ওই মহিলার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দেওরকে গ্রেফতার করেছে। এর আগেও ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষার পর ওই মহিলার গর্ভপাত করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।

Updated By: Aug 5, 2012, 11:44 PM IST

ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণের পরীক্ষায় রাজি না হওয়ায় এক অন্তঃসত্ত্বার ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালির শান্তিরাম রাস্তায়। অসুস্থ ওই মহিলাকে টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষায় রাজি না হওয়ায় মহিলাকে মারধর করা হয়। পুলিস ওই মহিলার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দেওরকে গ্রেফতার করেছে। এর আগেও ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষার পর ওই মহিলার গর্ভপাত করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।
২০০৮-এ বালির শান্তিরাম রাস্তা এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে বিয়ে হয় রঞ্জনার। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। কয়েকবছর আগে ফের অন্তঃসত্ত্বা হন রঞ্জনা। অভিযোগ, এরপর থেকেই পুত্রসন্তানের দাবিতে তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু হয়। রবীন্দ্র প্রসাদের অনুপস্থিতিতে জোর করে ভ্রুণের লিঙ্গ পরীক্ষা করানো হয়। অভিযোগ, সে সময় কন্যাসন্তানের ভ্রূণ দেখার পর রঞ্জনাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর এবং ননদ।
এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা রঞ্জনা। অভিযোগ, ফের শুরু হয়েছে একই মানসিক অত্যাচার। ভ্রুণের লিঙ্গ পরীক্ষার জন্য জোরাজুরি। এনিয়ে অশান্তি চলছিলই। কিন্ত গত দোসরা অগাস্ট তা চরমে ওঠে। অভিযোগ, রবীন্দ্র প্রসাদ বাড়ি না থাকার সুযোগ নিয়ে রঞ্জনার ওপর চড়াও হয় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
রঞ্জনা এখন টি এল হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রঞ্জনা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু হয়েছে। যদিও রঞ্জনার ননদের দাবি, সম্পত্তির লোভে পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁর বাবা-মাকে।

.