পুলিসের হুকুমে `ক্যারেকটার সার্টিফিকেট` সংগ্রহে প্রতিবেশীর দ্বারস্থ মহিলা
থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে এক মহিলাকে পুলিস বলল ক্যারেকটার সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে। পুলিসের মুখে এই কথা শুনে ওই মহিলা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এলাকাবাসীর সই সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।
থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে এক মহিলাকে পুলিস বলল ক্যারেকটার সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে। পুলিসের মুখে এই কথা শুনে ওই মহিলা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এলাকাবাসীর সই সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে ওই মহিলার। গোটা ঘটনায় কাঠগড়ায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস।
এর র আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পুলিসকে আরও মানবিক হতে। থানায় কেউ অভিযোগ জানাতে গেলে সেই অভিযোগ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরও যে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিসের ভূমিকা বিশেষ পাল্টায়নি, তা স্পষ্ট হল আরও একটি ঘটনায়।
থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, এক মহিলার থেকে পুলিস তো অভিযোগ নিলই না, উল্টে মহিলার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাঁকে বলল ক্যারেকটার সার্টিফিকেট আনতে। ফলে রবিবার সকালে, ঝাড়গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এলাকাবাসীর সই সংগ্রহ করলেন এই মহিলা। সংগ্রহ করলেন নিজের সচ্চরিত্র হওয়ার সার্টিফিকেট। মহিলা জানাচ্ছেন, ঝাড়গ্রাম থানায় কর্তারা তাঁকে বলেছেন চরিত্রের প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে।
ঘটনায় সূত্রপাত গত সোমবার। আর্থিক বিবাদের জেরে মহিলার স্বামীকে মারধর করেন এলাকারই কয়েকজন। ঝাড়গ্রাম থানায় মহিলা অভিযোগ জানাতে গেলে, প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিস। তারপর জেনারেল ডায়রি লিখে নেওয়া হয়।
ঝাড়গ্রাম থানায় মহিলার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন ওই অভিযুক্তেরা। মহিলাকে ফের ডেকে পাঠানো হয় থানায়। পুলিসের তরফে মহিলার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় বলে অভিযোগ। মহিলা প্রতিবাদ করায় চাওয়া হয় চরিত্রের প্রমাণপত্র। তারপরেই এলাকাবাসীর কাছে সই সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। পুলিসের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ দানা বেঁধেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
এ ব্যাপারে ঝাড়গ্রাম পুলিস জেলার সুপার ভারতী ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পশ্চিমাঞ্চল রেঞ্জের ডিআইজি এলএন মীনা জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু, কেন থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়া এক মহিলাকে পুলিস এমন ফরমান দিল, তার সদুত্তর মেলেনি।