পুলিস ফাঁড়িতেই চলছে কচিকাচাদের নিয়ে প্রাথমিক স্কুল!

পুলিস ফাঁড়িতেই চলছে কচিকাচাদের নিয়ে প্রাথমিক স্কুল। ক্লাস নিচ্ছেন পুলিসকর্মীরাই। এই বিরল দৃশ্য দেখা গেছে শিলিগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রাম মিলনপল্লীর পুলিস ফাঁড়িতে। এলাকায় কোনও স্কুল না থাকায় শিশুদের পড়াশোনার প্রাথমিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন  উর্দিধারীরাই। শিলিগুড়ি শহর থেকে ছত্রিশ কিলোমিটার দূরে তিস্তা নদীর ধারে প্রত্যন্ত গ্রাম মিলনপল্লী। পাশেই রয়েছে আরও তিনটি গ্রাম গাজলডোবা, দুধিয়া এবং চাকীমারী। তিনটি গ্রামে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস । গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ।  গ্রামে ছিলনা কোনও স্কুল। শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে তেমন কেউ মাথাও ঘামাননি।  দুহাজার তেরো সালে মিলনপল্লী পুলিস ফাঁড়িতেই শুরু হয় নবদিশা পাঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর আর্জি জানান পুলিসকর্মীরাই।

Updated By: Feb 8, 2016, 09:03 AM IST
পুলিস ফাঁড়িতেই চলছে কচিকাচাদের নিয়ে প্রাথমিক স্কুল!

ওয়েব ডেস্ক: পুলিস ফাঁড়িতেই চলছে কচিকাচাদের নিয়ে প্রাথমিক স্কুল। ক্লাস নিচ্ছেন পুলিসকর্মীরাই। এই বিরল দৃশ্য দেখা গেছে শিলিগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রাম মিলনপল্লীর পুলিস ফাঁড়িতে। এলাকায় কোনও স্কুল না থাকায় শিশুদের পড়াশোনার প্রাথমিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন  উর্দিধারীরাই। শিলিগুড়ি শহর থেকে ছত্রিশ কিলোমিটার দূরে তিস্তা নদীর ধারে প্রত্যন্ত গ্রাম মিলনপল্লী। পাশেই রয়েছে আরও তিনটি গ্রাম গাজলডোবা, দুধিয়া এবং চাকীমারী। তিনটি গ্রামে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস । গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ।  গ্রামে ছিলনা কোনও স্কুল। শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে তেমন কেউ মাথাও ঘামাননি।  দুহাজার তেরো সালে মিলনপল্লী পুলিস ফাঁড়িতেই শুরু হয় নবদিশা পাঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর আর্জি জানান পুলিসকর্মীরাই।

সেই শুরু । দেখতে দেখতে ছাত্র সংখ্যা পৌছেছে পঞ্চাশে। রোজ সকালে নটা থেকে বারোটা পর্যন্ত পুলিস ফাঁড়িতেই চলে স্কুল। পড়ানোর দায়িত্ব ভাগ করে নেন ফাঁড়ির আঠারোজন পুলিসকর্মী। পুলিস ফাঁড়ির এই উদ্যোগে খুশী অভিভাবকরাও।

.