শাসকের জুলুম, বিদ্রোহী পুলিস

শাসক দলের নেতার হাতে আক্রান্ত হলেন কর্তব্যরত দুই পুলিসকর্মী। প্রতিবাদে কর্মবিরতি করে কার্যত বিদ্রোহের পথেই হাঁটলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার পুলিসকর্মীরা। নজিরবিহীন ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত পুলিসের বড়কর্তাদের চাপে সেই বিদ্রোহে আপাতত দাঁড়ি পড়েছে। আক্রান্ত এক পুলিসকর্মীকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর শাসক দলের অভিযুক্ত নেতা বুক ফুলিয়ে ঘুরছেন।তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভাশিস পালের নেতৃত্বে হামলা হল হরিরামপুর থানার কর্তব্যরত দুই পুলিস কর্মীর উপর। প্রতিবাদে শুক্রবার রাত আটটা থেকে কাজ বন্ধ করে দেন হরিরামপুর থানার পুলিসকর্মীরা। পুলিসের বড়কর্তারা যদিও হামলা, কর্মবিরতির কথা মানতে নারাজ।

Updated By: Jul 27, 2013, 09:42 PM IST

শাসক দলের নেতার হাতে আক্রান্ত হলেন কর্তব্যরত দুই পুলিসকর্মী। প্রতিবাদে কর্মবিরতি করে কার্যত বিদ্রোহের পথেই হাঁটলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার পুলিসকর্মীরা। নজিরবিহীন ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত পুলিসের বড়কর্তাদের চাপে সেই বিদ্রোহে আপাতত দাঁড়ি পড়েছে। আক্রান্ত এক পুলিসকর্মীকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর শাসক দলের অভিযুক্ত নেতা বুক ফুলিয়ে ঘুরছেন।তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভাশিস পালের নেতৃত্বে হামলা হল হরিরামপুর থানার কর্তব্যরত দুই পুলিস কর্মীর উপর। প্রতিবাদে শুক্রবার রাত আটটা থেকে কাজ বন্ধ করে দেন হরিরামপুর থানার পুলিসকর্মীরা। পুলিসের বড়কর্তারা যদিও হামলা, কর্মবিরতির কথা মানতে নারাজ।
পুলিসের কর্মবিরতির মতো নজিরবিহীন কাণ্ডটা যে ঘটেছে সেটা কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাই।
 
বড়কর্তাদের চাপে কাজে যোগ দিয়েছেন পুলিসকর্মীরা। ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আক্রান্ত এসআই সমীর মণ্ডলকে। ফেসবুকে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নিগৃহীত এসআই সমীরবাবু লিখেছেন, ``হুমকির মুখে পড়ে আমি হতাশ। আইসি-সহ থানার পুলিসকর্মীদের রাজনৈতিক নেতার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।``
 
থানার পুলিসের উপর যে তাঁর ভরসা নেই, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকও।
হরিহরপুর থানার পুলিস কর্মীদের অভিযোগ আগেও বহুবার থানায় ঢুকে তাঁদের হমকি দিয়েছেন শুভাশিস পাল। তৃণমূল নেতা অবশ্য হামলার কথা মানতেই নারাজ।
তৃণমূলের জেলা সভাপতিও দাঁড়িয়েছেন শুভাশিসের পাশেই। তবে দুই নেতার বিবরণ একটু আলাদা। 
এত বড় কাণ্ডটা যে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তা স্পষ্ট। আমাদের প্রতিনিধির সামনেই পুলিস সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়।
শাসক দলের নেতার হাতে মার খাওয়ায় পুলিসে কর্মবিরতি, বড়কর্তাদের চাপে তা তুলে নেওয়া, আক্রান্ত পুলিসকর্মীকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া, পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাটা ভাল চোখে দেখছেন না পুলিসকর্মীরা। ভাল চোখে দেখছেন না শাসক দলের অনেক নেতাও। 

 

.