রাজ্যে চলছে মোড়ল রাজ, কখনও ধর্ষণের নির্দেশ, কখনও ধর্ষণের বিধান, লাভপুরের মতোই পূর্বস্থলীতেও নির্বিকার পুলিস
লাভপুরের পর বর্ধমানের পূর্বস্থলী। এক্ষেত্রেও ধর্ষণ। আর তারপর সালিশি সভা। আর সেই সভাতেই রেহাই দেওয়া হয়েছিল ধর্ষণকারীকে। পরে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বিতর্ক এড়াতে পারল না পুলিস। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চাইলই না বর্ধমান পুলিস।
লাভপুরের পর বর্ধমানের পূর্বস্থলী। এক্ষেত্রেও ধর্ষণ। আর তারপর সালিশি সভা। আর সেই সভাতেই রেহাই দেওয়া হয়েছিল ধর্ষণকারীকে। পরে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বিতর্ক এড়াতে পারল না পুলিস। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চাইলই না বর্ধমান পুলিস।
পুলিস-আইন আদালত নয়। গ্রামের ঘটনা গ্রামেই মিটিয়ে নিতে সালিশি সভা বসিয়ে জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল পূর্বস্থলীতে। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সুনীল কোলের নেতৃত্বে সালিশি সভা ডেকে গ্রামের মাতব্বররা অভিযুক্তকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা নির্যাতিতার হাতে তুলে দেওয়ার নিদানও দেওয়া হয়। কিন্তু সালিশি সভার এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি নির্যাতিতা। থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাধা দেন মাতব্বররা। এই নিষেধ অগ্রাহ্য করেই পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ।
নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রথমে পূর্বস্থলী থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলেও পরে তা নেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু এক্ষেত্রেও লাভপুরের ঘটনার মতন অভিযুক্তের পুলিসি হেফাজতের দাবি করেনি বর্ধমান পুলিস। অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, সলিশি সভার মোড়লদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।