কাঁটাতারের মিলনমেলা, 'পহেলা'য় মিলল দুই বাংলা
সীমান্তরক্ষীরাও এদিন স্বজন। কাঁটাতারের বেড়া যেন থেকেও নেই। বর্ষবরণের আগের সেই ট্র্যাডিশন আজও অটুট। বছরের এই একটি দিনে দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার।
ওয়েব ডেস্ক:সীমান্তরক্ষীরাও এদিন স্বজন। কাঁটাতারের বেড়া যেন থেকেও নেই। বর্ষবরণের আগের সেই ট্র্যাডিশন আজও অটুট। বছরের এই একটি দিনে দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার।
চৈত্র সংক্রান্তি মানেই জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ভোলাপাড়ায় উত্সবের আমেজ। কাঁটাতারের ওপারের হাতছানিতে এদিন এ তল্লাটের ৮ থেকে ৮০ হাজির হয় সীমান্তে। বর্ষবরণের আগের দিন সে যেন এক সব পেয়েছির মেলা। ১ বছর অপেক্ষার পর এপার-ওপারের স্বজন মুখোমুখি। গলাগলি নাই বা হল, কাঁটাতারের ফাঁক গলে টুকরো কথা চালাচালি কিংবা উপহার দেওয়া -নেওয়া এদিন অবাধ। সীমান্তরক্ষীদের চোখরাঙানি এড়িয়ে সকাল ১০ টা থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টার মিলনমেলায় মঙ্গলবারও একাকার হল দুই বাংলা।
মাত্র ৩০০ টাকায় আস্ত ইলিশ! না, চৈত্র সেল আদৌ নয়। ভোলাবাড়ির আজব মেলায় এদিন এমন জলের দরেই বিকোল ওপারের ইলিশ। ভিড়ের মাঝে স্বজনকে খুঁজে নিয়ে গল্পগুজবও চলল লাগাতার। এপার- ওপারের সেই উষ্ণতার আবেগ সামাল দিতে বিএস এফ তো রীতিমতো নাজেহাল।
ওপারের সাথীরাও এদিন উচ্ছ্বাসে অকপট। দুপুর গড়িয়ে ভাঙল মিলনমেলা। বাতাসে তখন ফিসফাস, আসছে বছর আবার দেখা হবে।