পিংলায় পুলিসি নিষ্কৃয়তার পিছনেও কি শাসক দল? উঠছে প্রশ্ন
পুলিসের নাকের ডগাতেই চলছিল বেআইনি কারখানা। সব জেনে শুনেও পুলিস ছিল নিষ্ক্রিয়। কেন এই নিষ্ক্রিয়তা? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খোদ তৃণমূল নেতার কারখানা বলেই নীরব ছিল পুলিস। ঘটনার পর সেই পুলিসই সক্রিয় হয়ে উঠল দেহ লোপাট করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে। অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পিংলার ব্রাহ্মণবাড় গ্রাম। রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এই এলাকা। ছিন্ন ভিন্ন দেহ ছড়িয়ে পড়ে এদিক ওদিক।
ব্যুরো: পুলিসের নাকের ডগাতেই চলছিল বেআইনি কারখানা। সব জেনে শুনেও পুলিস ছিল নিষ্ক্রিয়। কেন এই নিষ্ক্রিয়তা? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খোদ তৃণমূল নেতার কারখানা বলেই নীরব ছিল পুলিস। ঘটনার পর সেই পুলিসই সক্রিয় হয়ে উঠল দেহ লোপাট করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে। অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পিংলার ব্রাহ্মণবাড় গ্রাম। রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এই এলাকা। ছিন্ন ভিন্ন দেহ ছড়িয়ে পড়ে এদিক ওদিক।
কারা চালাত এই কারখানা? স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা রঞ্জন মাইতির এই কারখানা রমরমিয়ে চলছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। অংশীদার পাশের গ্রামের রাম মাইতি। গ্রামবাসীরা জানতেন, এটা বাজি কারখানা। অনেকে নাকি পুলিসে অভিযোগও জানিয়েছিলেন, এখানে বোমাও তৈরি হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
কারখানাটা যে বেআইনি, স্বীকার করেছে খোদ পুলিসও।
সুদচড়া গ্রামে রাম মাইতির বাড়িতেও ছিল বেআইনি কারখানা। দুহাজার তেরো সালে বিস্ফোরণ হয় সেখানেও। এরপরই এলাকা বদলে রঞ্জনের সঙ্গে কারখানা গড়ে তোলে রাম। পুলিসের নাকের ডগাতেই চলতে থাকে বেআইনি কারবার। বছর খানেক আগে স্থানীয় মুণ্ডমারি মোড়ে বাস থেকে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম নামানোর সময় ধরা পড়ে যায় রঞ্জন। তবে কয়েকদিনের মধ্যে জামিনও পেয়ে যায় সে। অবাধে ফের কারখানা চলতেও থাকে। কিন্তু কেন কারখানা বন্ধে উদ্যোগী হয়নি পুলিস? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিজের রাজনৈতিক পরিচয়কে কাজে লাগিয়েই পুলিসকে হাতে নিয়ে নিয়েছিল রঞ্জন।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বহুদিন আগেই দল থেকে বের করা হয়েছিল রঞ্জনকে।
গ্রামবাসীরা অবশ্য তৃণমূলের দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল করার সুবাদেই বুধবার রাতে বিস্ফোরণের পরও ধামাচাপা দিতে আসরে নামে পিংলার পুলিস। একের পর এক দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। পুলিস অবশ্য এ নিয়ে স্পিকটি নট।