সরকারি কোষাগারে পকেটমারি রুখতে তৎপর হাওড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা নিজেদের পকেটে পুরছেন হাওড়া জেলাআদালতেরই কিছু অসাধু কর্মী। কিন্তু কী ভাবে চলছে এই অসাধু ব্যবসা? গল্পটা হল,নিয়ম ভাঙার
ওয়েব ডেস্ক: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা নিজেদের পকেটে পুরছেন হাওড়া জেলাআদালতেরই কিছু অসাধু কর্মী। কিন্তু কী ভাবে চলছে এই অসাধু ব্যবসা? গল্পটা হল,নিয়ম ভাঙার
অভিযোগে যে সমস্ত গাড়ির জরিমানা হয় তাদের মালিককে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্ক মারফত টাকা জমা দিয়ে পুলিসের কাছ কাগজ ছাড়াতে হয়। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যারা ফাইন দেননা
তাদের কাগজপত্র আদালতের মোটর ভেইকলস বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে ফাইন জমা দিয়ে কাগজ ছাড়াতে হয় গাড়ি মালিকদের। আর এখানেই বাসা
বেঁধেছে দুর্নীতি। গাড়ি মালিকদের ফাইন পিক পকেট হয়ে চলে যাচ্ছে আদালতেরই কিছু অসাধু কর্মীর পকেটে।
সর্ষের মধ্যেই ভুত। সরকারি কোষাগারেই পকেটমারি।আদালতই হয়ে উঠেছে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ তুলেছেন আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। কেমন ধরনের
দুর্নীতি? ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগ, দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে হাওড়া আদালতের মোটর ভেইকলস বিভাগ। প্রতিবছর প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা সরকারি রেভিনিউ নিজেদের পকেটে পুরছেন
আদালতেরই বেশকিছু অসাধু কর্মী।
মানুষ যেখানে সুবিচারের আশায় দৌড়ে আসেন সেখানেই এই দুর্নীতি! মেনে নিতে পারেন নি হাওড়া আদালতের চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কুমার নন্দী। বিষয়টি জানিয়ে হাওড়া থানায়
এফআইআর করেন বিচারক। নড়েচড়ে বসে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় হাওড়া আদালতের মোটর ভেইকলস বিভাগের ল ক্লার্ক সুদীপ সাহাকে। শুরু হয় তদন্ত।