পাহাড় বন্ধ: চতুর্থ দিনেও অশান্ত, উত্তপ্ত
মোর্চার ডাকা বনধের চতুর্থ দিনে উত্তপ্ত পাহাড়। সকাল থেকেই দার্জিলিংয়ে জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কয়েকহাজার মোর্চা সমর্থক। বন্ধ স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস। শুনশান রাস্তা। রয়েছে সিআরপিএফ বাহিনীর টহল। মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা সিআরপিএফ ও র্যাফ।
মোর্চার ডাকা বনধের চতুর্থ দিনে উত্তপ্ত পাহাড়। সকাল থেকেই দার্জিলিংয়ে জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কয়েকহাজার মোর্চা সমর্থক। বন্ধ স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস। শুনশান রাস্তা। রয়েছে সিআরপিএফ বাহিনীর টহল। মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা সিআরপিএফ ও র্যাফ।
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনকে আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। পাহাড় পরিস্থিতির মোকাবিলায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকারও। জেলা শাসক জানিয়েছেন যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা অফিসে হাজিরা দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার।
মোর্চার ডাকা বনধের চতুর্থ দিনে উত্তপ্ত পাহাড়। সকাল থেকেই দার্জিলিংয়ে জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কয়েকহাজার মোর্চা সমর্থক। বন্ধ স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস। শুনশান রাস্তা। রয়েছে সিআরপিএফ বাহিনীর টহল। মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা সিআরপিএফ ও র্যাফ।
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনকে আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। পাহাড় পরিস্থিতির মোকাবিলায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকারও। জেলা শাসক জানিয়েছেন যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা অফিসে হাজিরা দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার। এদিক, মহাকরণ নয়, পাহাড়ে থেকেই পাহাড় সমস্যার মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে দার্জিলিং যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিসের পদস্থ আধিকারিকদের একটি দলও পাহাড়ে যাবে।
মঙ্গলবারের বনধের খবর একনজরে-
১. রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যেতে পারেন বিমল গুরুং। অনির্দিষ্টকালের পাহাড় বনধের চতুর্থ দিন বিকেলে দিল্লি থেকে খবরটা এল মোর্চা শিবিরে। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ মোর্চা। আজই দিল্লিতে মোর্চা প্রতিনিধিরা দেখা করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম আর জয়রাম রমেশের সঙ্গে।
২. মোর্চাকে জব্দ করতে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিচ্ছে সরকার। মোর্চার শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার-পর্ব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার পুলিস এবং প্রশাসনিক স্তরেও রদবদল আনছে সরকার। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বর্ধমানে। দার্জিলিংয়ের নতুন জেলাশাসক হচ্ছেন অর্থ দফতরের যুগ্ম সচিব পদে থাকা পুনীত যাদব। পাহাড় সম্পর্কে অভিজ্ঞ আইপিএস জাভেদ শামিমকে স্পেশাল আইজি-দার্জিলিং পদে বদলি করার সিদ্ধান্তও প্রায় পাকা। সরিয়ে আনা হতে পারে ডিআইজি দার্জিলিং দময়ন্তী সেনকে। পরিস্থিতি বুঝে নিতে মঙ্গলবারই দার্জিলিং পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩. জিএলপি সদস্যরা সমাজকর্মী। তাঁরা কোনও অন্যায় করেননি। মোর্চার আন্দোলনকে দমাতেই অন্যায়ভাবে তাঁদের গ্রেফতার করছে রাজ্য সরকার। আমাদের প্রতিনিধি মৌপিয়া নন্দীকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে একথা বললেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং।
৪. বিমল গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা অনীত থাপার চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। আজ তাকে কার্শিয়ং আদালতে তোলা হয়। গতকাল সন্ধেয় তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। অনীত থাপাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ পাহাড়ের তিন মহকুমাতেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মোর্চা। মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, জোর করে আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা হলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। পাহাড় পরিস্থিতির মোকাবিলায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকারও। অনীত থাপাকে গ্রেফতার করে রাজ্য তাদের কড়া মনোভাবেরই বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অন্যদিকে জলপাইগুড়ির গরুবাথান থেকে গতকাল ষোলজন জিএলপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ তাদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃত জিএলপি কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। ধৃতদের শিলিগুড়ি নিয়ে আসার পথে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মোর্চা সমর্থকরা। ধৃতদের দার্জিলিংয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি করেন তাঁরা। ধৃত মোর্চা সমর্থকদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলার সময় একই কায়দায় বিক্ষোভ দেখান মোর্চা নেতারা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মোর্চার মুখপাত্র বিনয় তামাং।
৫. মহাকরণ নয়, পাহাড়ে থেকেই পাহাড় সমস্যার মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে দার্জিলিং যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিসের পদস্থ আধিকারিকদের একটি দলও পাহাড়ে যাবে। পাহাড়ে যাচ্ছে সিআইডির একটি দলও। আজ দার্জিলিং পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। মোর্চার আন্দোলন মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত বাহিনী চাওয়া হতে পারে বলেও রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রয়োজনে মোর্চা নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পথও খোলা রাখা হচ্ছে।
৬. গোর্খাল্যান্ডের দাবি সবচেয়ে পুরনো ও প্রাসঙ্গিক। দ্রুত সমস্যা সমাধানে রাজ্য ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে আলোচনা জরুরি। আজ এমনই মত প্রকাশ করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ জসবন্ত সিং।