খাগড়াগড় বিস্ফোরণে একমাত্র জীবিত জঙ্গিকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এনআইএ
খাগড়াগড় বিস্ফোরণে একমাত্র জীবিত জঙ্গি আবুল হাকিমকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এনআইএ। এসএসকেএমের সার্জারি বিভাগের আইসিইউতে এখন ভর্তি রয়েছে সে। হাসান চৌধুরীর বাড়িতে বিস্ফোরণের পর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আবুল হাকিমকে। শরীরে একাধিক স্প্লিন্টারের আঘাত থাকায়, প্রথমে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। আবুল এখন প্রায় সুস্থ।
ওয়েব ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণে একমাত্র জীবিত জঙ্গি আবুল হাকিমকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এনআইএ। এসএসকেএমের সার্জারি বিভাগের আইসিইউতে এখন ভর্তি রয়েছে সে। হাসান চৌধুরীর বাড়িতে বিস্ফোরণের পর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আবুল হাকিমকে। শরীরে একাধিক স্প্লিন্টারের আঘাত থাকায়, প্রথমে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। আবুল এখন প্রায় সুস্থ।
আবুলের বাঁ হাঁটুতে একটু ক্ষত থাকলেও, তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন চিকিত্সকরা। বিস্ফোরণের পর পেরিয়ে গেছে এগারো দিন। সদ্য তদন্তভার হাতে পেয়েছে এনআইএ। তাই আবুল হাকিমকে তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। সেইমতো অনুমতি চেয়ে গতকাল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিকিত্সকরা অনুমতি দেওয়ায় আজ তাকে জেরা করতে পারে এনআইএ।
এদিকে, বর্ধমানে মোট সাতজনকে আটক করল পুলিস। গতকাল বিকেলে মঙ্গলকোটে একটি গাড়িতে করে সাতজন যাচ্ছিল। তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাড়া করলে দুজন পালিয়ে যায়। বাকি পাঁচজনকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। গাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়। পুলিস ওই পাঁচজনকে আটক করেছে। অন্যদিকে ভাতারে তিনজনকে আটক করেছে সিআইডি। এদের মধ্যে দুজন মহিলা। দুজনেরই বাড়ি মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ায়।
বিস্ফোরণকাণ্ডে যে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে, সেটিও শিমুলিয়াতেই। আটক এক যুবকের বাড়ি হটুদেওয়ানে। গত পরশু অর্থাত্ শনিবার সেখানে একটি জঙ্গি ডেরার সন্ধান পায় পুলিস। পীরতলার ওই বাড়িতে অগাস্ট মাসে এক শিশুকে নিয়ে চারজন ভাড়া আসে। নিজেদের কাপড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেয় তারা। বর্ধমান কাণ্ডের ঠিক দুদিন পর চারজনই ইদে বাড়ি যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায়। এরপরই আজ মোট সাতজনকে আটক করল পুলিস। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।