পুনর্বাসনের দাবি গোচরণের চোলাই বিক্রেতাদের, ফের বিষমদে মৃত্যু গোঘাটে

মাওবাদী বা কেএলও জঙ্গিদের মত তাঁদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক সরকার। রীতিমত কমিটি গড়ে এই দাবি জানালেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোচরণের চোলাই মদ বিক্রেতারা।

Updated By: Dec 21, 2011, 06:50 PM IST

মাওবাদী বা কেএলও জঙ্গিদের মত তাঁদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক সরকার। রীতিমত কমিটি গড়ে এই দাবি জানালেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোচরণের চোলাই মদ বিক্রেতারা। গোচরণ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আর্থিক প্যাকেজ দাবি করে পোস্টারও দেওয়া হয়েছে কমিটির তরফে ।  শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় লক্ষীকান্তপুরের গোচরণ। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচশো চোলাই মদের ভাটি রয়েছে এখানে। এখান থেকেই সড়ক ও ট্রেনপথে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যায় চোলাই। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ। সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের জেরে বন্ধ বেশিরভাগ ভাটি । কাজ হারিয়েছেন প্রত্যেকেই। প্রশাসনিক ও সামাজিক চাপে অনেকেই আর ব্যবসা করতে চাইছেন না। গড়েছেন জীবন সংগ্রাম কমিটি। ইতিমধ্যেই কমিটির তরফে পোস্টারও দেওয়া হয়েছে গোচরণ স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায়। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, মাওবাদী অথবা কেএলও জঙ্গিদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে সরকার। একইভাবে তাঁদেরও দেওয়া হোক আর্থিক প্যাকেজ।
তবে সংগ্রামপুর কাণ্ডের পরও চোলাই বন্ধে পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের উদ্যোগ চোখে পড়ছে না তেমন। অব্যাহত রয়েছে বিষমদে মৃত্যু মিছিল । এবার বিষাক্ত চোলাই খেয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল হুগলির গোঘাটে। আজ সকালে বদনগঞ্জের বাসিন্দারা নান্টু দলুই নামের এক স্থানীয় যুবকের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নান্টু দলুই গতকাল সন্ধেয় স্থানীয় ভাটিতে মদ্যপান করতে গিয়েছিলেন। সেখানে চোলাই খাওয়ার পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষমদে ১৭৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা এখনও দগদগে। তার মধ্যেই নতুন করে মৃত্যুর ঘটনায় গোঘাটের বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চোলাই মদ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। নান্টু দলুইয়ের মৃত্যুর পর গ্রামবাসীরা এলাকার চোলাই ভাটিতে গিয়ে ভাঙচুর চালান। মদ বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

.