বিশ্বভারতী কাণ্ডে উপাচার্যকে তিরস্কার এনসিপিসিআরের

ছাত্রী হেনস্থার ঘটনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ক্ষুব্ধ এনসিপিসিআর বক্তব্য, একজন উপাচার্যের কাছ থেকে এধরনের মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। গতকাল উপাচার্য বলেছিলেন, ওয়ার্ডেন যা করেছিলেন, তা চিকিত্‍সারই অঙ্গ।

Updated By: Jul 10, 2012, 10:53 PM IST

ছাত্রী হেনস্থার ঘটনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ক্ষুব্ধ এনসিপিসিআর বক্তব্য, একজন উপাচার্যের কাছ থেকে এধরনের মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। গতকাল উপাচার্য বলেছিলেন, ওয়ার্ডেন যা করেছিলেন, তা চিকিত্‍সারই অঙ্গ। অভিযুক্ত ওয়ার্ডেন প্রশিক্ষিত নন, উপাচার্যের এই অজুহাতের প্রেক্ষিতেও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কমিশন। এবিষয়ে উপাচার্যকে চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছে এনসিপিসিআর।
পাঠভবনে ছাত্রী হেনস্থার ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড়। এরমাঝে এই ঘটনায় বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের মন্তব্য ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে উপাচার্য বলেছিলেন, করবী হস্টেলের ওয়ার্ডেন যা করেছেন তা আসলে চিকিত্‍সারই অঙ্গ। এনসিপিসিআরের প্রশ্ন, একটি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা কোন যুক্তিতে চিকিত্‍সার অঙ্গ হতে পারে? একজন উপাচার্যই বা কী করে এধরনের কথা বলতে পারেন?
 
উপাচার্যের দাবি ছিল, করবী হস্টেলের অভিযুক্ত ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ ছিল না। এনসিপিসিআরের বক্তব্য, সেক্ষেত্রে উমা পোদ্দারকে কী করে করবী হস্টেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এত বড় গাফলতির ক্ষেত্রে উপাচার্যও দায় এড়াতে পারেন না বলেই এনসিপিসিআরের দাবি। অন্যদিকে এনসিপিসিআরের মতে, করবী হস্টেলে ছাত্রী হেনস্থার ঘটনা কর্পোরাল পানিশমেন্ট। ২০১০ সালে গেজেট নোটিফিকেশ জারি করে কর্পোরাল পানিশমেন্ট নিষিদ্ধ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারপরও এধরনের ঘটনা কী করে ঘটে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এনসিপিসিআর।
 
গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে উপাচার্যকে চিঠি লেখার কথা ভাবছে কমিশন। তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও গোটা ঘটনার দিকে নজর রাখছে। রাজ্যের তরফেও কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। আপাতত সেই রিপোর্টেরই অপেক্ষায় রয়েছে এনসিপিসিআর।
 

.