ভাঙরে ধর্মের ভিত্তিতে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির আবেদন নাকচ, পিছু হটল সরকার, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের আবেদন, সংবিধান বহির্ভূত সংখ্যালঘু সংরক্ষণের আবেদন

গত এগারোই ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে সংখ্যালঘুদের জন্য মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য মেডিক্যাল কলেজ? চিকিৎসক মহলে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ধর্মের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হলে অনুমোদন নাও দিতে পারে মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই বিষয়টি আঁচ করে শেষমেশ পিছু হটল সরকার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির আগ্রহপত্র চেয়ে নোটিস জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

Updated By: Oct 20, 2013, 05:11 PM IST

গত এগারোই ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে সংখ্যালঘুদের জন্য মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য মেডিক্যাল কলেজ? চিকিৎসক মহলে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ধর্মের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হলে অনুমোদন নাও দিতে পারে মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই বিষয়টি আঁচ করে শেষমেশ পিছু হটল সরকার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির আগ্রহপত্র চেয়ে নোটিস জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
সেই নোটিসে সংখ্যালঘু মেডিক্যাল কলেজের কোনও উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র ভাঙড়ে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য বেসরকারি সংস্থার কাছে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু ভাঙলেও মচকাতে নারাজ রাজ্য সরকার। নোটিসে একটি অনুচ্ছেদ ঘিরে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওই অংশে বলা হয়েছে পিপিপি মডেলে  মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হলে, এমবিবিএস কোর্সে পড়ুয়া ভর্তির নূন্যতম ৩৩.৩৩% সংরক্ষণ থাকবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের হাতে। এখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কীভাবে ধর্মের ভিত্তিতে এমবিবিএস  কোর্সে পড়ুয়া ভর্তির সংরক্ষণ হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

.