কাল রাজ্যে পাঁচটি পুরসভায় ভোট, কোমড় বেঁধে তৈরি ডান-বাম দু`পক্ষই

কাল রাজ্যের পাঁচটি পুরসভায় ভোট। ভোট হাওড়া, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর পুরসভায়। রাজ্যের ২৩টি পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডে কাল  উপনির্বাচন।  সোমবার  ভোটগণনা।

Updated By: Nov 21, 2013, 09:42 PM IST

কাল রাজ্যের পাঁচটি পুরসভায় ভোট। ভোট হাওড়া, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর পুরসভায়। রাজ্যের ২৩টি পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডে কাল  উপনির্বাচন।  সোমবার  ভোটগণনা।
হাইপ্রোফাইল পুরসভা হাওড়া।  বাম-ডান দুপক্ষের কাছেই হাওড়া মর্যাদার লড়াই । ৫০ ওয়ার্ডের হাওড়া পুরসভার ৩৩টিই গতবার বামেদের দখলে ছিল। তৃণমূল বারোটি, কংগ্রেস চারটি, বিজেপি জিতেছিল একটি ওয়ার্ডে। এবার ডান-বাম দুপক্ষের কাছেই লড়াইটা বেশ কঠিন। বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে হাওড়া পুর এলাকায়  এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু কাজ করেছি এই দাবি নিয়ে এবার পুরভোটে জয়ের আশা রাখছে বামেরাও।
 
অধীর চৌধুরীর মর্যাদার লড়াইয়ের সঙ্গে তৃণমূলের অস্তিত্ব প্রমাণের লড়াইটাই বহরমপুর পুরসভার সারকথা। গত পনের বছরে বহরমপুর পুরসভার কোনও ওয়ার্ডেই কংগ্রেস বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পারেনি।  এবারের ভোটেও  কংগ্রেসের হাতিয়ার সেই অধীর ম্যাজিক। নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে মরিয়া লড়াই চলাচ্ছে তৃণমূলও। বহরমপুরে ছুটে গিয়েছেন মুকুল রায়, মদন মিত্ররা। ভোট টানতে ঘরে ঘরে প্রচার করেছেন বামেরাও।
২৪ ওয়ার্ডের কৃষ্ণনগর পুরসভা গতবার কংগ্রেসের দখলে ছিল। এবার সেই কংগ্রেসি কাউন্সিলররাই তৃণমূলের হয়ে ভোটের প্রার্থী।  গতবার কৃষ্ণনগরের চব্বিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে ছিল চোদ্দটি, তৃণমূল আটটি, ও বাম সমর্থিত সোশ্যালিস্ট পার্টির দুটি। এবারের নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের চোদ্দজন কাউন্সিলরই তৃণমূলে যোগ দেন। পরে অবশ্য একজন ফিরে আসেন কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগেসের সব কাউন্সিলরই এবারের  প্রার্থী। প্রত্যেকেরই আশা জিতছেন। 
বাম আমলেও  মেদিনীপুর পুর এলাকায় নিজেদের দখল বজায় রেখেছিল বামবিরোধীরা। কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল হওয়ার পর মেদিনীপুর পুরসভায়  তৃণমূলের শক্তি বাড়ে। ২৫ ওয়ার্ডের মেদিনীপুর পুরসভায় ডিলিমিটেশনের আগে ওয়ার্ড ছিল চব্বিশটি। গতবার এই চব্বিশটি ওয়ার্ডের দশটিই ছিল তৃণমূলের দখলে, কংগ্রেসের দখলে ছিল চারটি। নির্দলের দখলে ছিল তিনটি ও বামেদের দখলে ছিল সাতটি ওয়ার্ড। এবারের ভোটে অশান্তি এড়াতে প্রতিটি বুথে দুজন বন্দুকধারি ও দুজন লাঠিধারি পুলিসকর্মী থাকবেন।
বলতে গেলে শুরুর লগ্ন থেকেই ঝাড়গ্রাম পুরসভা বামেদের দখলে। গত ৩১ বছর ঝাড়গ্রাম পুরসভায় বাম ছাড়া অন্য কোন দলই কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।  সতের ওয়ার্ডের ঝাড়গ্রাম পুরসভা ডিলিমিটেশনের জন্য এবার আঠারো ওয়ার্ডের। গতবার সতেরোটি ওয়ার্ডের বারোটিই ছিল বামেদের দখলে, কংগ্রেস ও তৃণমূল দুটি করে আসন পেয়েছিল, অন্যান্যদের দখলে ছিল একটি আসন। এবারের মূল ইস্যু উন্নয়ন।  ভোটকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ঝাড়গ্রামে।

.