নাম পাল্টে ফের পাহাড় অচল করার কর্মসুচি মোর্চার
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোর্চা নেতৃত্ব। হাইকোর্ট `জনতা কারফিউ` কর্মসূচির সমালোচনা করায় এবার কৌশল গত রণনীতি ঠিক করল মোর্চা। নাম বদল করে ফের পাহাড়কে অচল করার ডাক দেওয়া হয়েছে। এবারের কর্মসূচি, `ঘর ভিতরে জনতা।` মোর্চা নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, ``পাহাড়ের জনতার মনোভাবকে সম্মত জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোর্চা নেতৃত্ব। হাইকোর্ট `জনতা কারফিউ` কর্মসূচির সমালোচনা করায় এবার কৌশল গত রণনীতি ঠিক করল মোর্চা। নাম বদল করে ফের পাহাড়কে অচল করার ডাক দেওয়া হয়েছে। এবারের কর্মসূচি, `ঘর ভিতরে জনতা।` মোর্চা নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, ``পাহাড়ের জনতার মনোভাবকে সম্মত জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
আগামী কর্মসূচি: ১৯-২৩ অগস্ট `ঘর ভিতরে জনতা` (মানুষ ঘরের ভিতরে থেকেই প্রতিবাদ পালন করবে)। ২৪ ও ২৫ `রাখি জুলুস` বের করবে মোর্চা নেতৃত্ব, ২৬ তারিখ `মানব শৃঙ্খল` (রাজ্য সরকারের প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে সাধারণ মানুষ)। ১৮ তারিখ ফের বৈঠকে বসবে গোর্খাল্যান্ড জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। সেখান থেকেই পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে মোর্চা।
এ দিনের বৈঠকে সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সম্মতি জানিয়েছে বলে দাবি করেছে মোর্চা। আজকের বৈঠকে ওঠেনি জিটিএ প্রসঙ্গ। ঠিক সময়ে জিটিএ প্রত্যাখ্যান করা হবে বলে মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে।
পাহাড়ের সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। তাঁরা এও জানিয়েছেন, রাজ্যপালের মধ্যস্ততায় আশু সমাধান সূত্র খুঁজতে রাজি আছে গোর্খাল্যান্ড অনুরাগীরা। মোর্চা নেতৃত্বের কথায়, "রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি মধ্যস্থাতা করতে রাজি নন। তবুও যদি তিনি ডাকেন আমরা আমদের দাবি তাঁকে জানাব।"
নাম পালটে পাহাড়ে আন্দোলন জারি রাখার সমালোচনায় সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানিয়েছেন, "এটা অগণতান্ত্রিক।" জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবরকম ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি ও কংগ্রেসের সর্বদল বৈঠকে সামিল হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, "কংগ্রেস বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে সমর্থন করছে, সঙ্গে রয়েছে বিজপি।" খুব শীঘ্রই তিনি পাহাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন গৌতম বাবু।
পাহাড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকারও। মোর্চা নেতাদের ধরপাকড় এখনও অব্যাহত। তার ওপর রয়েছে হাইকোর্টের চাপ। এই সাঁড়াশি চাপের মধ্যে দাঁড়িয়েও আন্দোলনেরই পক্ষপাতী মোর্চা। তাই আজ সর্বদল বৈঠকে থেকে মোর্চা নতুন করে পাহাড় উত্তপ্ত করার কর্মসূচি নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।