প্রকাশ্য সভায় তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর 'মেঠো কাজিয়া'
দুই মন্ত্রীর মেঠো কাজিয়া। একবারে প্রকাশ্যে। সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে। তেমনটাই হল মালদা কলেজের অডিটোরিয়ামে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের উদ্যোগে চলছিল জমির পাট্টা বিলি। মঞ্চে ছিলেন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। আচমকা প্রায় গেটক্র্যাশ করে ঢুকে পড়েন আরেক মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তারপরই তুমুল বিবাদ।
ওয়েব ডেস্ক: দুই মন্ত্রীর মেঠো কাজিয়া। একবারে প্রকাশ্যে। সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে। তেমনটাই হল মালদা কলেজের অডিটোরিয়ামে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের উদ্যোগে চলছিল জমির পাট্টা বিলি। মঞ্চে ছিলেন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। আচমকা প্রায় গেটক্র্যাশ করে ঢুকে পড়েন আরেক মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তারপরই তুমুল বিবাদ।
কিন্তু দুই মন্ত্রীর কাজিয়া কী নিয়ে? ইংরেজবাজার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে একটি জলাশয়। জলাশয়ের চারপাশের জমিতে থাকেন ৫৮টি গরিব পরিবার। ইংরেজবাজার পুরসভা ওই জলাশয় বাঁধিয়ে তাতে বোটিং চালু করার প্রস্তাব দেয়। সেই সময়ই ঠিক হয় যে জমিতে বসে রয়েছেন ওই ৫৮টি পরিবার, তাঁদের ওই জমির পাট্টা দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় ঠিক হয় ওই জমির পাট্টা দেবে সাবিত্রী মিত্রের উদ্বাস্তু কল্যাণ ও পুনর্বাসন দফতর। সেই মোতাবেক আজ পুরাতন মালদার কিছু জমি এবং ইংরেজবাজার পুরসভার ওই জমির পাট্টা বিলির কাজ চলছিল। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী এবং ইংরেজ বাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দাবি, ওই জমির মালিক পুরসভা। তাই পুরসভার অজান্তে ওই জমির পাট্টা বিলি চলবে না। এই নিয়েই সাবিত্রী মিত্রের সঙ্গে কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর জেরে স্থগিত হয়ে যায় ওই জমির পাট্টা বিলি।