শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দলের সঙ্গে আজ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
প্রকাশ্যে যাই বলুন না কেন, শান্তিপ্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার দায় এড়াতেই ফের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আনোচনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুর দুটোয় মহাকরণে হবে এই বৈঠক।
প্রকাশ্যে যাই বলুন না কেন, শান্তিপ্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার দায় এড়াতেই ফের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আনোচনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ দুপুর দুটোয় মহাকরণে হবে এই বৈঠক। মাওবাদী এবং মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রস্তাবটি আজই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন মধ্যস্থতাকারীরা। গত ৪ অক্টোবর মধ্যস্থতাকারী এবং মাওবাদী নেতা আকাশের যৌথ স্বাক্ষরিত প্রস্তাবপত্রটি এসে পৌঁছয়। তারপর বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরেও সরকারের তরফ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। সেই সময়েই সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়ে ফের চিঠি দেন মাওবাদী নেতা আকাশ। এর পর জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া সমালোচনা করেন মাওবাদীদের। শেষ সুযোগ হিসাবে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেন অস্ত্র সংবরণের জন্য। এই অবস্থায় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ফের বৈঠক শান্তিপ্রক্রিয়ায় উভয়ের রণকৌশলগত অবস্থান আরও স্পষ্ট করেছে। প্রকাশ্যে মাওবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আদতে তাদের চাপে রাখতে চায় সরকার। শান্তিপ্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার দায় এড়াতে ফের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক চাইছে রাজ্য। এই শান্তি প্রক্রিয়ায় সরকারের অ্যাডভান্টেজ চাপে পড়ে যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের দাবি থেকে সরে এসে শুধুমাত্র অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছে মাওবাদীরা। উল্টোদিকে, মাওবাদীদের অ্যাডভান্টেজ পজিশন হল, তারা আগে থেকেই অস্ত্রসংবরণের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। সেক্ষেত্রে সরকারের কড়াভাষায় আক্রমণের পর শান্তিপ্রক্রিয়া ভেস্তে গেলে তার দায় সরকারের ঘাড়েই বর্তাবে। ফলে চাপে পড়ে সরকার যদি অন্তত অভিযান বন্ধ রাখে, তার সুযোগ নিতে পারবে মাওবাদীরা। সেই কারণেই উভয়পক্ষই নিজেদের কাজ হাসিল করতে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে চাইছে। ফলে এদিনের এই বৈঠক থেকেই নতুন করে শুরু হতে পারে দর কষাকষির খেলা।