ফের মাও তত্পরতা জঙ্গলমহলে

জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাওবাদীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কানিমহুলি গ্রামে দিনকয়েক আগেই মাওবাদীদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আকাশ, বিকাশ-সহ মাওবাদীদের প্রায় ২০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গলমহলে সংগঠন জোরদার করতে মাওবাদীরা ফের উঠেপড়ে লেগেছে বলে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

Updated By: Apr 16, 2012, 05:24 PM IST

জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাওবাদীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কানিমহুলি গ্রামে দিনকয়েক আগেই মাওবাদীদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আকাশ, বিকাশ-সহ মাওবাদীদের প্রায় ২০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গলমহলে সংগঠন জোরদার করতে মাওবাদীরা ফের উঠেপড়ে লেগেছে বলে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  
গত বছরের নভেম্বরে কিষেণজির মৃত্যুর পর রাজ্যে মাওবাদীদের সংগঠন বড় ধাক্কা খায়। তারপর একের পর এক নেতানেত্রীর আত্মসমর্পণে বেশ দুর্বলই হয়ে পড়েছিল মাওবাদী সংগঠন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে মাওবাদীরা ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কানিমহুলি গ্রামে দিনকতক আগেই মাওবাদীদের একটি বৈঠক হয়েছে। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে যৌথবাহিনীর নজরদারি তেমন কড়া নয়। তাই বৈঠকের জন্য কানিমহুলিকে বেছে নেয় মাওবাদীরা। কিষেণজির মৃত্যুর পর এটাই রাজ্যে মাওবাদীদের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে মাওবাদী নেতা আকাশ এবং বিকাশ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় স্তরের বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা। বৈঠকে,
বেছে বেছে এলাকা ভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ছোটো ছোটো রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের। এলাকাভিত্তিক দাবিদাওয়া সেইসব রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলে অকারণ খুনখারাপি ও গণ আদালত বসানোর মতো বিষয়গুলি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তই বৈঠকে নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পাশাপাশি, জঙ্গলমহলে সংগঠন জোরদার করার কাজও শুরু করেছে মাওবাদীরা। জনসমর্থন ফিরে পেতে কথা বলা শুরু হয়েছে গ্রামবাসীদের সঙ্গে। পাশাপাশি, নতুন করে নিয়োগও শুরু করেছে মাওবাদীরা। বিনপুর, জামবনি, লালগড় এলাকার বেশ কিছু তরুণ-তরুণীকে ট্রেনিংয়ে পাঠানোর খবর মিলেছে। ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার অজ্ঞাত স্থানে ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে নবনিযুক্তদের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরেই প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে তত্পরতা।
 

.