অবস্থানে অনড় মোর্চা, ভেস্তে গেল জিটিএ বৈঠক
জিটিএ বৈঠক ভেস্তে গেল মোর্চার অনড় অবস্থানে। মাত্র দুজন জিটিএ সদস্য আজ বৈঠকে যোগ দেন। তবে তাঁরাও গিয়েছিলেন ধৃত মোর্চা নেতা-কর্মীদের জেল থেকে মুক্তির দাবিতে পিটিশন জমা দিতে। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় বিমল গুরুংয়ের জায়গায় পরবর্তী জিটিএ প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
জিটিএ বৈঠক ভেস্তে গেল মোর্চার অনড় অবস্থানে। মাত্র দুজন জিটিএ সদস্য আজ বৈঠকে যোগ দেন। তবে তাঁরাও গিয়েছিলেন ধৃত মোর্চা নেতা-কর্মীদের জেল থেকে মুক্তির দাবিতে পিটিশন জমা দিতে। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় বিমল গুরুংয়ের জায়গায় পরবর্তী জিটিএ প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
ধৃত নেতা-কর্মীদের জেল থেকে ছাড়া না হলে মোর্চা যে জিটিএ বৈঠকে যোগ দেবে না, আগেই এই শর্ত দিয়েছিলেন বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা। তা মানাও হল অক্ষরে অক্ষরে। দশজন জিটিএ সদস্য সহ বাকিদের মুক্তির দাবিতে পিটিশন জমা দিতে মাত্র দুজন জিটিএ সদস্য বৈঠকে যান।
মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকাকালীনই জিটিএ বৈঠক বয়কট করে মোর্চা কি আন্দোলনে অনড় থাকার বার্তাই দিল?
সমস্যা মেটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব কেন্দ্রের। কিন্তু মোর্চা বনধের পথ থেকে না সরলে রাজ্য আলোচনায় বসতে নারাজ। এদিকে মোর্চাও অনড় নিজের অবস্থানে. ফলে জট যেখানে ছিল, রয়ে গেছে সেখানেই।
বিমল গুরুংয়ের জায়গায় জিটিএ প্রধান নির্বাচন করতে সরকারের চেষ্টাচরিত্র এবারও ব্যর্থ। এরপর কী করবে সরকার?
জিটিএ আইন বলছে, সরকার জিটিএ-র মনোনীত পাঁচজন সদস্যের মধ্যে থেকে কাউকে প্রধান ঘোষণা করে দিতে পারে।
জিটিএ-তে সরকার মনোনীত দুজন এবং মোর্চার মনোনীত তিনজন সদস্য রয়েছেন. কোন পক্ষের সদস্যের নামে সিলমোহর বসাবে সরকার, এক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠবে সেই প্রশ্ন।
এছাড়া, সরকারি কোনও আধিকারিককে প্রশাসক হিসেবে জিটিএ-র মাথায় বসানো হতে পারে। কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্ত অধিকার দিয়ে দেওয়া হবে তাঁরই হাতে।
রয়েছে আরও একটি পথ। চরম পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য সরকার ভেঙে দিতে পারে জিটিএ. সেক্ষেত্রে ফের নতুন করে জিটিএ নির্বাচন হবে।
মহাকরণ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী এখনই কোনও চরম পদক্ষেপ নিতে নারাজ. মোর্চাকে পাশে রেখে জিটিএ-র কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে চাইছে রাজ্য। পাহাড়কে শান্ত করতেই এই ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার পাহাড় সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের কাজকর্ম শুরু করে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তার কতটা ঘটবে, এনিয়ে সন্দেহ রয়েছে।