মালদায় এবার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের আভিযোগ
পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ক্রমাগত ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। কিন্তু সহকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজারে।
পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ক্রমাগত ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। কিন্তু সহকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজারে।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজের বাড়িতে বারবার শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ধর্ষিতার। প্রতিবেশী পুলিস কনস্টেবল কৃষ্ণকমল দাস গত দুবছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইংরেজবাজারের এক গৃহবধূ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, ভয় কাটিয়ে তিনি ইংরেজবাজার থানায় এফআইআর করতে যান ওই মহিলা। তাঁর দাবি, অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিস। তাই গত বছর ২৪ নভেম্বর মালদার পুলিস সুপারের দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা। তাতেও কাজ না-হওয়ায় দ্বারস্থ হন আদালতের। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মালদা জেলা আদালত অভিযুক্ত ওই পুলিস কনস্টেবলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় বলে জানিয়েছেন মহিলার আইনজীবী। কিন্তু অভিযুক্ত একজন পুলিসকর্মী হওয়ায় পুলিস
এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বাঁকুড়ায় কর্মরত কনস্টেবল পুত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মানতে চাননি বাবা। তাঁর বক্তব্য, চাপ দিয়ে টাকা আদায় করতেই ধর্ষণের কথা বলা হচ্ছে।
পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন ধরা পড়ার পর সাহস পেয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন ইংরেজবাজারের ওই মহিলা। একইসঙ্গে অভিযোগ করেছেন পুলিসি নিষ্ক্রিয়তারও।
পার্কস্ট্রিট-কাণ্ডের প্রথম দিকেও যে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্য। যার মাশুল দিতে হয়েছিল অসহায় এক মহিলাকে। আপাতত সেই তদন্ত প্রক্রিয়া কিছুটা ইতিবাচক দিকে এগোলেও ইংরেজবাজারের এই মহিলা কিন্তু এখনও অত্যন্ত অসহায়, আতঙ্কজনক অবস্থাতেই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।