মহিষাদলে পুলিস কনস্টেবল খুনের ঘটনায় গুলি চালিয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ বেরা
ওয়েব ডেস্ক: মহিষাদলে পুলিস কনস্টেবল খুনের ঘটনায় গুলি চালিয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ বেরা। পুলিসি জেরায় জানাল এই ঘটনায় ধৃত দুষ্কৃতী সেখ রফিক। কর্ণের খোঁজে ওড়িশায় হানা দিয়েছে পুলিস। এর আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর অমর সোনি নামক এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতর করা হয়। মহিষাদলের কাপাসএড়্যায় পুলিস খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কনস্টেবল দুর্যোধন মান্না ও এস আই প্রশান্ত বণিকের বয়ান অনুযায়ী, হামলাকারীদের একজনের সঙ্গে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ বেরার মিল রয়েছে। খুনের ঘটনায় ধৃত সেখ রফিককে জেরা করে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান মিলে গেল। কাঁথির ছত্রধরা থেকে সেখ রফিককে গ্রেফতার করে পুলিস। ছত্রধরার শ্রীরামপুর এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী মুন্নার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে তারা জানায় পাশের গ্রামের পুলিস কর্মী শেখ সাত্তারকে। সেখ সাত্তারের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখ রফিককে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিসের দাবি, জেরায় সেখ রফিক জানিয়েছে, NH 31 ধরে বাড়ি ফেরার সময় পুলিস তাড়া করলে গুলি চালায় কর্ণ বেরা। এর আগে ডাকাতি মামলায় মুন্নার সঙ্গে ধরা পড়ে কর্ণ। মুন্না জেলে থাকলেও আদালত চত্ত্বর থেকে পুলিসকে ফাঁকি উধাও হয় কর্ণ বেরা। একই সঙ্গে সেখ রফিকও পেট্রল পাম্প ডাকাতির মামলায় ফেরার ছিল। এর আগে পুলিস খুনের ঘটনায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর থেকে গ্রেফতার করা হয় অমর সোনিকে। পুলিসের তথ্য অনুযায়ী ধৃত অমর সানি, কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে অনুপ্রবেশ করে। এদেশে আসার পর উত্তর চব্বিশ পরগনায় থাকতে শুরু করে সে। পরে বিয়ে করে পূর্ব মেদিনীপুরের এক তরুণীকে। মাঝেমধ্যেই এই সূত্রে মহিষাদলে যাতায়াত ছিল সানির। সানি মূলত রোড হাইজ্যাকিংয়ের সঙ্গে যুক্ত।
পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনার পরপরই কর্ণ বেরা পালিয়ে যায় ওড়িশায়। কর্ণ বেরার খোঁজে ওড়িশায় গেছে পুলিসের তদন্তকারী দল।