শবর মহিলাদের কাঁধে ভর করেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে লিপিদিরি গ্রাম

নিজেদের হাতে গড়া আমবাগানই আয়ের দিশা দেখাচ্ছে জঙ্গলমহলের শবর গ্রামকে। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া। এই জেলার জঙ্গলমহলের বাসিন্দা পিছিয়ে পড়া জনজাতি শবর সম্প্রদায়। এক দশক আগেও জঙ্গলমহলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শবর গ্রামগুলি ছিল সবদিক থেকে পিছিয়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে বদলছে ছবিটা। বদলেছে জীবন যাত্রা।

Updated By: Mar 28, 2014, 01:32 PM IST

নিজেদের হাতে গড়া আমবাগানই আয়ের দিশা দেখাচ্ছে জঙ্গলমহলের শবর গ্রামকে। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া। এই জেলার জঙ্গলমহলের বাসিন্দা পিছিয়ে পড়া জনজাতি শবর সম্প্রদায়। এক দশক আগেও জঙ্গলমহলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শবর গ্রামগুলি ছিল সবদিক থেকে পিছিয়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে বদলছে ছবিটা। বদলেছে জীবন যাত্রা।

আধুনিক পদ্ধতিতে আম চাষ করে জঙ্গলমহলের রুক্ষ মাটিতে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছেন রানিবাঁধের শবর মহিলারা। বাঁকুড়ার লিপিদিরি গ্রাম। সব মিলিয়ে বাস দশটি শবর পরিবারের। নিজেদের জমি না থাকায় গ্রামের প্রায় সকলেরই জীবিকা ছিল অন্যের জমিতে দিন মজুরি। এলাকায় সেচের ব্যবস্থা না থাকায় চাষের কাজ মিলত বছরে মাত্র তিনমাস। বাকি সময় কোনও কাজই থাকত না এই পরিবারগুলির হাতে। অর্ধাহার নয়ত অনাহারে কেটে যেত দিন। কিন্তু দিন বদলেছে লিপিদিরি গ্রামের। আর এই দিন বদলের কারিগর গ্রামের শবর মহিলারা। কোনও সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র নিজেদের উদ্যোগ সম্বল করে তৈরি করেছেন স্বনির্ভরগোষ্ঠী। অন্যের কাছ থেকে পতিত জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন আমবাগান। এই আমবাগানে কাজের জন্য তাঁরা একশ দিনের প্রকল্পে মজুরি পান।

গাছগুলি থেকে যে ফলন হয় তা বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন লাভের অঙ্ক। আমবাগানকে সামনে রেখেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে লিপিদিরি গ্রামের শবর পরিবারগুলির অর্থনীতি।

.