প্রথম দফা: ২৫৮০ আসনে প্রার্থী প্রত্যাহার বামেদের
রাজ্যে প্রথম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব এবং স্ক্রুটিনির কাজ শেষ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, তিনটি স্তর মিলিয়ে ২৫৮০টি আসনে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাম প্রার্থীরা। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা প্রার্থী। বামেদের অভিযোগ, শাসকদলের হুমকি এবং সন্ত্রাসের জেরেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা।
রাজ্যে প্রথম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব এবং স্ক্রুটিনির কাজ শেষ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, তিনটি স্তর মিলিয়ে ২৫৮০টি আসনে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাম প্রার্থীরা। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা প্রার্থী। বামেদের অভিযোগ, শাসকদলের হুমকি এবং সন্ত্রাসের জেরেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা।
বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেওয়ার পর এবার প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে শাসকদল। চলছে, হুমকি, হামলা, আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা। প্রথম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব আর স্ক্রুটিনির শেষে দেখা যাচ্ছে, প্রায় আড়াই হাজার আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও তুলে নিয়েছেন বাম প্রার্থীরা। আর এইসব আসনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন মহিলারা।
জেলা পরিষদে সিপিআইএম ৫৬টি আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে। আরএসপি ৬টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে।
পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিআইএম ৩৮৭টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও তুলে নিয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১২৭টি আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে সিপিআইএম। হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে প্রথম পর্যায়েই প্রার্থী প্রত্যাহারের সংখ্যাটা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
তিন দফায় মনোনয়নপত্র পেশের পর দেখা যাচ্ছে ৫৯৬৮টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হচ্ছে না। যার মধ্যে ৫৪০৩টি আসনই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। প্রথম পর্যায়ের যে আড়াই হাজার আসন থেকে বামেরা প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে, সেই সবকটি আসনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের প্রশ্ন, এমন ভোট করে তবে লাভ কি?
এর আগে কমিশনের তরফেও বলা হয়েছিল, পর্যাপ্ত পরিমাণ বাহিনী না থাকাতেই মনোনয়নপর্বে জেলায় জেলায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এক ও দু নম্বর ব্লকে মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা একদিন বাড়িয়েছে কমিশন।