রাজ্যের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ প্রতি বছর কমাচ্ছে কেন্দ্র, মাথায় হাত আমজনতার, দাম বাড়ার আশঙ্কা
ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্যের। রাজ্যের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ প্রতি বছর কমানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেরোসিন খাতে ভর্তুকি কমানোর উদ্দেশ্যেই বরাদ্দ ছাঁটাই বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে আগামীদিনে রাজ্যে নগদে ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র।
ওয়েব ডেস্ক: ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্যের। রাজ্যের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ প্রতি বছর কমানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেরোসিন খাতে ভর্তুকি কমানোর উদ্দেশ্যেই বরাদ্দ ছাঁটাই বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে আগামীদিনে রাজ্যে নগদে ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র।
স্টোভ বা হ্যারিকেনে এখনও আস্থা গ্রামের গরিব-গুর্বো মানুষের। আর তার জন্য প্রয়োজন কেরোসিন। রেশন কার্ড হাতে তাই দাঁড়াতেই হয় লাইনে। এবার সেই কেরোসিনেই সংকট। মাথায় হাত আমজনতার। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ কমিয়েই চলেছে কেন্দ্র। ফলে দাম বাড়ার আশঙ্কা।
২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ছিল ৯,৬৩,৬২০ কিলোলিটার কেরোসিন।
২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তা কমে দাঁড়ায় ৯,৩১,৫২৪ কিলোলিটারে।
২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টারে বরাদ্দ ২,২৪,০২৮ কিলোলিটার কেরোসিন।
অর্থাত্ বছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৮,৯৬,১১২ কিলোলিটার। অর্থাত্ ৩ বছরে রাজ্যের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ কমল প্রায় ৬০ হাজার কিলোলিটার। কেন্দ্রের কাছে বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য খাদ্য দফতর। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া মেলেনি।
এই টানাপোড়েনের জেরে মে মাস শেষ হয়ে গেলেও জুনে প্রতি জেলার জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ চূড়ান্ত করতে পারেনি খাদ্য দফতর। কেরোসিন খাতে ভর্তুকি কমানোর উদ্দেশ্যেই এই বরাদ্দ ছাঁটাই বলে মনে করছে রাজ্য। তবে আগামীদিনে গ্রাহকদের সুবিধায় রাজ্যে যে নগদে ভর্তুকি প্রদান ব্যবস্থা চালু হবে, তার ইঙ্গিত অবশ্য মিলেছে কেন্দ্রের তরফে।