কামদুনিতে মুখ্যমন্ত্রীর হেনস্থা নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট ঘিরে প্রশ্ন
মুখ্যমন্ত্রীকে কামদুনিতে হেনস্থা পূর্ব পরিকল্পিত। ঠিক করা ছিল বিক্ষোভ কর্মসূচিও। কামদুনি কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে এমনই রিপোর্ট পেশ করেছেন এডিজি আই বি। আর এখানেই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
মুখ্যমন্ত্রীকে কামদুনিতে হেনস্থা পূর্ব পরিকল্পিত। ঠিক করা ছিল বিক্ষোভ কর্মসূচিও। কামদুনি কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে এমনই রিপোর্ট পেশ করেছেন এডিজি আই বি। আর এখানেই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
মুখ্যমন্ত্রীর কামদুনি যাওয়ার কথা গোয়েন্দা বা নিরাপত্তারক্ষীদেরই আগাম জানা ছিল না। তাহলে কামদুনির মানুষ এই সফরের কথা জানলেন কী করে। আগাম হেনস্থার পরিকল্পনাই বা নেওয়া হল কী করে।
কামদুনিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সিপিআইএমের সমর্থক মহিলারা। ঘটনার দিন মাওবাদীদের প্রকাশ্য সংগঠনও কাজ করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। গোলমালের জন্য দায়ী করা হয়েছে ছজন স্থানীয় মহিলাকে। এঁরা হলেন টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়াল, রূপা কয়াল, সুচিত্রা মণ্ডল, জবা হাজরা এবং অপর্ণা।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ওই গ্রামে যাওয়ার আগে বৈঠক করেই বিক্ষোভের কর্মসূচি ঠিক হয়। বৈঠকে পরিকল্পনা হয়েছিল কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থা করা হবে। ঠিক হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণের কথা বললেও তা মানা হবে না। বরং তাঁকে হেনস্থা করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কামদুনি সফরের কথা আগে থেকে ঠিক ছিল না। মহাকরণ থেকে কাউকে না জানিয়েই বেরিয়েছিলেন তিনি। ঠিক কোথায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত তা স্পষ্টই ছিল না। অথচ গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থার জন্য আগাম বিক্ষোভের ছক কষা হয়েছিল।
যেখানে নিরাপত্তারক্ষীরাই মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্য ঘিরে বহুক্ষণ অন্ধকারে ছিলেন, সেখানে কামদুনির মানুষ কী করে সেই সফরের কথা আগাম জানতে পারলেন। আর যদি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কথা নাই জানতেন, তাহলে রীতিমত বৈঠক করে পরিকল্পনা মাফিক বিক্ষোভ বা হেনস্থার প্রশ্ন উঠছে কী করে।
আর এখানেই দেখা দিয়েছে বড়সড় অসঙ্গতি। পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রীর ঝটিকা সফরে কী করে ছক কষে বিক্ষোভ হল তা স্পষ্ট হচ্ছে না আই বি রিপোর্টে।