বার্লা গোষ্ঠীর বিক্ষোভে বৈঠক ভন্ডুল বীরসা তিরকের

জন বার্লাকে বহিষ্কারের পর প্রথমবার ডুয়ার্সে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বীরসা তিরকে। আজ কালচিনিতে জনসভা করতে গিয়েছিলেন বিরসা। কিন্তু পৌঁছনোর পরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বার্লার সমর্থকেরা।

Updated By: Dec 18, 2011, 05:10 PM IST

জন বার্লাকে বহিষ্কারের পর প্রথমবার ডুয়ার্সে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বীরসা তিরকে। আজ কালচিনিতে জনসভা করতে গিয়েছিলেন বিরসা। কিন্তু পৌঁছনোর পরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বার্লার সমর্থকেরা। অবিলম্বে বার্লাকে দলে ফেরানোর দাবি জানান তাঁরা। বিক্ষোভের জেরে বাতিল করতে হয় জনসভা। শেষপর্যন্ত কালচিনি থানার পুলিস গিয়ে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ওই নেতাকে উদ্ধার করে। এরপর দলের সদস্যদের নিয়ে বীরসা তিরকে আলিপুরদুয়ারের একটি হোটেলে বৈঠকে বসেন।
প্রসঙ্গত, জন বার্লার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর সঙ্গে বীরসা তিরকের তিক্ততার সূত্রপাত মোর্চার সঙ্গে জিএটিএ চুক্তি স্বাক্ষর দিয়ে। বিষয়টি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতারা। তার জেরে প্রাথমিক কোপটা পড়ে দলের তরাই ডুয়ার্স কমিটির সভাপতি জন বার্লার ওপরেই। কারণ, জিএটিএ-র অন্যতম স্থপতি ছিলেন তিনিই। গত ২৬ নভেম্বর সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। আর ১৭ ডিসেম্বর দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় জন বার্লাকে। শাস্তির কোপে পড়তে হয় শুকরা মুন্ডা এবং তেজকুমার টোপ্পোকেও। দুবছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত হন শুকরা মুণ্ডা। তেজকুমার টোপ্পোকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আদিবাসী বিকাশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জন বার্লা। অনুগামীদের নিয়ে বানারহাটে দিনভর বৈঠকের পর সরাসরি দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। এদিন কালচিনির ঘটনাকে সেই শক্তিপ্রদর্শনেরই প্রাথমিক ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.