বেলডাঙার তালাবন্ধ বাড়িতে এখনও রয়ে গেছে শাকিল-রাজিয়ার ব্যবহৃত জিনিস
খাগড়াগড়ের আগে শাকিল গাজির ঠিকানা ছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা। প্রায় তিনবছর সপরিবারে বেলডাঙ্গার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত শাকিল। জুন মাস থেকে তালাবন্ধ সেই বাড়ি। ঘরের ভিতরে রয়ে গেছে শাকিল-রাজিয়ার ব্যবহৃত একাধিক জিনিস। অথচ, এখনও সেই ঘরের তালা খোলা হয়নি। পুলিসি তল্লাসিও হয়নি।
ওয়েব ডেস্ক: খাগড়াগড়ের আগে শাকিল গাজির ঠিকানা ছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা। প্রায় তিনবছর সপরিবারে বেলডাঙ্গার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত শাকিল। জুন মাস থেকে তালাবন্ধ সেই বাড়ি। ঘরের ভিতরে রয়ে গেছে শাকিল-রাজিয়ার ব্যবহৃত একাধিক জিনিস। অথচ, এখনও সেই ঘরের তালা খোলা হয়নি। পুলিসি তল্লাসিও হয়নি।
নমাজ পড়তে গিয়ে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী অলিউল শেখের সঙ্গে পরিচয় হয় শাকিলের। সেই সূত্রেই শাকিলকে বাড়ি ভাড়া দেওয়া। ব্যবসার কাজে প্রায়ই বাড়ির বাইরে যেত শাকিল। জুন মাসে বাড়ি তালাবন্ধ করে চলে যাওয়ার পরও কোনওরকম সন্দেহ হয়নি বাড়ির মালিক অলিউলের। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের পর শুক্রবার বেলডাঙ্গার বাড়িতে পৌছয় পুলিস। কিন্তু, দরজার তালা ভেঙে তল্লাসি হয়নি।
বেলডাঙ্গায় শাকিলের ভাড়াবাড়ির কাছেই অন্য একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত তার চার কর্মচারী। বিস্ফোরণের পরের দিন বাড়িতে পুলিস পৌছনোয় হতবাক বাড়ির মালিক। খোঁজ মিলছে না ওই চারজনের। এলাকায় খুব একটা মেলামেশা করত না শাকিল, রাজিয়া ও বাকিরা। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বোরখার দোকান ভাড়া নিয়ে চলত বিকিকিনি। সেখানেও কাজ ছাড়া দেখা মিলত না শাকিলদের।
মিশুকে নয়। ব্যস্ত থাকে নিজেদের কাজ নিয়ে। শাকিল-রাজিয়াকে এভাবেই চিনত বেলডাঙ্গা। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণ নড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিশ্বাস। তিনবছর ধরে চেনা মানুষদের ভোলবদলে স্তম্ভিত বেলডাঙ্গার মানুষ।