হাওড়ার বনেদি বাড়ির পুজো

বালির শান্তিরাম রোডের ব্যানার্জি বাড়ির পুজো। এই পুজোর শুরু করেন জগত্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে শুরু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও পুজোয় ছেদ পড়েনি। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে শুরু হয় পুজোর কাজ। এখানে প্রতিমা একচালার ডাকের সাজে সজ্জিত। প্রতিমার সব গয়নাই সোনার। বংশানুক্রমিক ভাবে এই পরিবারের পুরোহিত, ঢাকি ও মৃতশিল্পীরা এই পুজোর সঙ্গে জড়িত। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে।

Updated By: Oct 4, 2011, 02:08 PM IST

বালির শান্তিরাম রোডের ব্যানার্জি বাড়ির পুজো। এই পুজোর শুরু করেন জগত্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে শুরু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও পুজোয় ছেদ পড়েনি। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে শুরু হয় পুজোর কাজ। এখানে প্রতিমা একচালার ডাকের সাজে সজ্জিত। প্রতিমার সব গয়নাই সোনার। বংশানুক্রমিক ভাবে এই পরিবারের পুরোহিত, ঢাকি ও মৃতশিল্পীরা এই পুজোর সঙ্গে জড়িত। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। পুজোর চারদিনই নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়। মিশরের নীলনদ, হোয়াংহো, টেমস, সহ চীন, ইজিপ্ট, ফ্রান্স ও জাপান সহ বিভিন্ন দেশের নদীর জলের সঙ্গে রূপোর ঘটিতে মেশানো হয় গঙ্গার জল। তারপর সেই জল দিয়ে স্নান করানো হয় কলাবউকে। আগে বিভিন্ন নদীর জল রাখা হত ছোট ছোট বর্মায় তৈরি ঘটিতে। এই পুজোয় চালকুমড়ো ও আখ বলি দেওয়া হয়। অষ্টমীর দিন কুমারী পুজোর সঙ্গে ধুনো পোড়ানো হয়। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মত বালির আর এক পুরোনো পুজো মিশ্র বাড়ির নৃসিংহ বাহিনীর দুর্গাপুজো। এই পুজো এবার একশো বছরে পা দিল। উনিশশো এগারো সালে সুরেন্দ্রনাথ মিশ্র এই পুজোর সূচনা করেন। তখন দেশ পরাধীন। সেসময় পুজো উপলক্ষে মেলা বসত। এই পুজোর মেলার মাধ্যমে লোকের মধ্যে স্বদেশী চিন্তা ভাবনা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগী হন নলিনচন্দ্র মিশ্র। এখনো এই পুজোয় বলি দেওয়া হয়।
 

.