সরকারি অবহেলায় উত্তরবঙ্গের গর্ব হিমূল এখন ভেন্টিলেশনে

হেলায় নষ্ট হচ্ছে বিশাল পরিকাঠামো। উত্‍পাদন ঠেকেছে তলানিতে। উত্তরবঙ্গের একসময়ের গর্বের  দুগ্ধপ্রকল্প হিমূল এখন ধুঁকছে। কর্মচারীদের অভিযোগ, বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও সরকার নির্বিকার।  পথ চলা  শুরু  উনিশশো ছিয়াত্তরে । তারপর থেকেই একটু একটু  করে উত্তরবঙ্গবাসীর জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে হিমূল।

Updated By: Mar 28, 2015, 11:13 PM IST
সরকারি অবহেলায় উত্তরবঙ্গের গর্ব হিমূল এখন ভেন্টিলেশনে

ব্যুরো: হেলায় নষ্ট হচ্ছে বিশাল পরিকাঠামো। উত্‍পাদন ঠেকেছে তলানিতে। উত্তরবঙ্গের একসময়ের গর্বের  দুগ্ধপ্রকল্প হিমূল এখন ধুঁকছে। কর্মচারীদের অভিযোগ, বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও সরকার নির্বিকার।  পথ চলা  শুরু  উনিশশো ছিয়াত্তরে । তারপর থেকেই একটু একটু  করে উত্তরবঙ্গবাসীর জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে হিমূল।

পাহাড় ও সমতলে দুধ সরবরাহকারীদের  চারশো আঠারোটি সমবায় সমিতি তৈরি হয়। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তখন হিমূলের দুধ বিক্রি হত। দুধের জোগান বাড়াতে আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানোই সার। উত্‍পাদন এখন কার্যত তলানিতে ।

দুধ ছাড়া হিমূলের অন্য প্রোডাক্টও আর বাজারে পাওয়া যায় না।  বকেয়া পাওনা না মেলায় দুধের জোগানেও টান পড়েছে।

হিমূলের এই বেহালের জন্য সরকারি উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন কর্মীরা।

বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি পরিকাঠামো ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। ধুলো জমছে কোটি টাকার সব যন্ত্রপাতিতে।

কর্মীদের  পিএফ ও গ্রাচুইটি বাবদ বকেয়া প্রায়  তিন কোটি। হিমুলের বিদ্যুত্‍ বিলের লক্ষাধিক টাকাও এখনও মেটানো হয়নি।

হিমূলের ভবিষ্যত্‍ নিয়ে আপাতত আশা-নিরাশার দোলাচলে কর্মীরা।

 

.