আজ জিটিএর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন, রাজ্য চায় সহযোগিতার পথে ফিরুক মোর্চা
আজ পাহাড়ে জিটিএর দ্বিতীয় দফার বৈঠক এবং নির্বাচন। রাজ্য সরকার চায়, সহযোগিতার পথে ফিরুক মোর্চা। সিইওর দায়িত্ব নিন বিমল গুরুংই। তবে মোর্চা দ্বিতীয় দফার বৈঠক ও নির্বাচন বয়কটের পথে গেলে একাধিক বিকল্প ভাবনা রয়েছে সরকারের।
আজ পাহাড়ে জিটিএর দ্বিতীয় দফার বৈঠক এবং নির্বাচন। রাজ্য সরকার চায়, সহযোগিতার পথে ফিরুক মোর্চা। সিইওর দায়িত্ব নিন বিমল গুরুংই। তবে মোর্চা দ্বিতীয় দফার বৈঠক ও নির্বাচন বয়কটের পথে গেলে একাধিক বিকল্প ভাবনা রয়েছে সরকারের।
শুক্রবার জিটিএর দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক ও নির্বাচন। ৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফার বৈঠকে যোগ দেয়নি মোর্চা। অংশ নেয়নি নির্বাচনেও। তবে রাজ্য সরকার চাইছে শুক্রবারের বৈঠক এবং ভোটে মোর্চা অংশ নিক। রাজ্য সরকার এটাও চায় যে জিটিএর সিইও হিসেবে দায়িত্বে ফিরুন গুরুংই। কিন্তু মোর্চা দ্বিতীয় দফার বৈঠক ও নির্বাচন এড়িয়ে গেলে বিকল্প পথও খোলা রাখছে রাজ্য। জিটিএ চালু রাখার জন্য ইতিমধ্যেই কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জিটিএর প্রশাসনিক, আর্থিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব ডিরেক্টরদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। জিটিএর কাজে সমস্যা তৈরি হলে ব্যবহার করা হবে জিটিএ আইনের রিমুভ্যাল অফ ডিফিক্যালটিজ ধারা. এই ধারায় ডিরেক্টরদের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত এই ধারা প্রয়োগ করেনি রাজ্য। তবে জিটিএর স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে প্রয়োজনে এই ধারা ব্যবহার করা হতে পারে।
ইতিমধ্যেই নতুন আদেশ জারি করে হিল অ্যাফেয়ার্স দফতরের কার্যকরী প্রধান সচিব করা হচ্ছে রামদাস মীনাকে। মীনা এখন জিটিএর প্রধান সচিব। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় হিল অ্যাফেয়ার্স দফতরেরও দায়িত্বে রয়েছেন। সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যেই স্বারাষ্ট্র সচিবকে প্রধান সচিব রেখে মীনাকে কার্যকরী প্রধান সচিবের দায়িত্বে আনা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে জিটিএ সমস্যা মোকাবিলায় শুক্রবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রাজ্য। তবে মোর্চা সহযোগিতার পথে না ফিরলে মনোনীত কাউকে জিটিএর চেয়ারম্যান করা অথবা প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য।