সংখ্যালঘু এলাকায় তৈরি হয়নি পরিকল্পনা মাফিক নতুন স্কুল, নিয়োগ হয়নি প্রয়োজনীয় শিক্ষকের, সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রতিশ্রুতি মাফিক শিক্ষার প্রসারে সরকারের ব্যর্থতা প্রকট
সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় দুবছরে শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল ১২ হাজার ৬৫৮ জনের। অনুমোদনও ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। নিযুক্ত হয়েছেন মাত্র ১২ জন। সরকারের সংখ্যালঘু দফতর সূত্রে উঠে এসেছে এই তথ্য। শুধু শিক্ষক নিয়োগই নয় সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় চলতি আর্থিক বছরে ঘোষণা ছিল ১০০টি নতুন প্রাথমিক স্কুলের। সেখানেও ভরাডুবি। স্কুল খোলা হয়েছে মাত্র ১৯টি।
সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় দুবছরে শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল ১২ হাজার ৬৫৮ জনের। অনুমোদনও ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। নিযুক্ত হয়েছেন মাত্র ১২ জন। সরকারের সংখ্যালঘু দফতর সূত্রে উঠে এসেছে এই তথ্য। শুধু শিক্ষক নিয়োগই নয় সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় চলতি আর্থিক বছরে ঘোষণা ছিল ১০০টি নতুন প্রাথমিক স্কুলের। সেখানেও ভরাডুবি। স্কুল খোলা হয়েছে মাত্র ১৯টি।
দিনকয়েক আগেই দেগঙ্গার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু উন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগেই এবার শিলমোহর দিল বর্তমান সরকারেরই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উন্নয়ন নিয়েও বারবারই নানা প্রতিশ্রুতি শোনা গেছে তাঁর মুখে। কিন্তু বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে? সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে ২০১১ -২০১২তে ১১ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষক নিয়োগের শর্ত থাকলেো রাজ্য সরকার একজনকেও নিয়োগ করতে পারেনি।
২০১২-২০১৩তে ৬৯৮ জন নিয়োগের কথা ছিল, নিয়োগ হয়েছেন মাত্র ১২ জন।
নতুন স্কুল খোলার ক্ষেত্রেও ব্যর্থ নতুন সরকার।
২০১২-২০১৩তে রাজ্যের সংখ্যালঘু প্রধান এলাকাগুলিতে খোলার কথা ছিল ১০০টি প্রাথমিক স্কুল। খুলেছে মাত্র ১৯টি।
ওই বছরেই নতুন ১৬৬টি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। তৈরি হয়েছে মাত্র ১৪টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল।
কেন এই বেহাল পরিস্থিতি?
সংখ্যালঘু দফতর জানিয়েছে, টাকার অভাব নেই। কিন্তু যোগ্য লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছে না।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের অন্দরের খবর নিয়োগের জন্য তালিকা তৈরি হলেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের পছন্দ-অপছন্দের কারণেই তা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না।
প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুস সাত্তারের অভিযোগ, ভোট যুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থন জোগাড়়েই প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি বাম আমলে ২০০৯-২০১০ সালে সংখ্যালগু প্রধান এলাকায় গড়ে ৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। ২০১০-২০১১ সালেও ২৮ হাজার ৪১৮ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে বাম সরকার।