নিরাপত্তা প্রশ্নে সংঘাতে সরকার-কমিশন

নিরাপত্তার প্রশ্নে জটিলতার মধ্যেই নতুন এক দফা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পর সরকারি আধিকারিকরা কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এনিয়ে শুরু হয়েছে সংঘাত। কমিশনের দাবি, বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে সরকারি আধিকারিকেরা থাকবেন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। কমিশনের দাবি খারিজ করে, রাজ্য সরকারের পাল্টা দাবি, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও সরকারি আধিকারিকেরা থাকবেন রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে।

Updated By: May 29, 2013, 09:21 PM IST

নিরাপত্তার প্রশ্নে জটিলতার মধ্যেই নতুন এক দফা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পর সরকারি আধিকারিকরা কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এনিয়ে শুরু হয়েছে সংঘাত। কমিশনের দাবি, বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে সরকারি আধিকারিকেরা থাকবেন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। কমিশনের দাবি খারিজ করে, রাজ্য সরকারের পাল্টা দাবি, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও সরকারি আধিকারিকেরা থাকবেন রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই ফের কমিশনের সঙ্গে নতুন সংঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিকরা কমিশনের নির্দেশ মেনে চলবেন বলে জানিয়ে ছিলেন রাজ্য নির্বাচনী কমিশনার মীরা পাণ্ডে।
সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারির পরই এবিষয়ে রাজ্যকে চিঠি দেয় কমিশন। জানানো হয়, প্রশাসনের আধিকারিক যেমন, জেলাশাসক, পুলিস সুপার সহ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য আধিকারিকরা নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত।
বুধবার কমিশনকে পাল্টা চিঠি দেয় রাজ্য। চিঠিতে জানানো হয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সরকারি আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণের অধিকার নেই। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই অধিকার রয়েছে।
কমিশনের পাল্টা দাবি, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিশন আধিকারিকদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে, সেই রীতি মেনেই রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে
এই পরিস্থতিতে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? প্রশ্ন উঠছে আধিকারিকদের নিজেদের অধীনে রাখতে রাজ্য সরকার এত মরিয়া কেন। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সরকারি আধিকারিকরা। আধিকারিকদের সাহায্যেই নির্বাচন পরিচালনা করে কমিশন। আধিকারকিদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াই হাতের মুঠোয় রাখা যাবে। আধিকারিকরা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকলে সমস্যায় পড়বে কমিশন। কোনও অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন ও সরকারের নির্দেশ ভিন্ন হলে জটিলতা তৈরি হবে। কোনওভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার রাশ হাতছাড়া করতে চায় না রাজ্য সরকার
বাম আমলে রাজ্যে  সাতবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। কোনওবারই সরকারি আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়নি রাজ্য সরকার। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই পদক্ষেপে বিস্মিত রাজ্যের রাজনৈতিক মহলও।

.