ডিভিসির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বন্যা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যের ২ জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। জেলার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে কিছুক্ষণের মধ্যে হবে বৈঠক। প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে।

Updated By: Oct 15, 2013, 05:52 PM IST

ডিভিসির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, রাজ্যকে জানিয়ে জলাধার থেকে জল ছাড়া উচিত। বারে বারে এই দাবি করা সত্ত্বেও মানা হচ্ছে না। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ বাড়িতেই জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও দুই মেদিনীপুরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের তরফে যাচ্ছেন মুকল রায়। 
ডিভিসির ছাড়া জলে দুই মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। গতকাল গোপীবল্লভপুরে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন ১ জন। আজও দাঁতনে জলের তোড়ে ভেসে যান এক ব্যক্তি। বন্যায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের। এই জেলার গোপীবল্লভপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লক, নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম  মহকুমার সাঁকরাইল, দাঁতন এক নম্বর ব্লক, কেশিয়াড়ি ব্লক প্লাবিত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ১১ হাজার কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার বাড়ি। ইতিমধ্যেই ৬২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের গড়পুরুষোত্তমপুরে বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় রানিচক-পাঁশকুড়া ব্লক প্লাবিত হয়েছে। দুই জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা না হলেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই জেলার ৭টি ব্লক প্লাবিত। গালুডি, কংসাবতী এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয়েছে এইসব এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের গড়পুরুষত্তমপুরে বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় রানিচক, পাঁশকুড়া ব্লক প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ব্যারেজগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমতে থাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।  

.