বানভাসি রাজ্যের চার জেলা: ফের জল ছাড়ল ডিভিসি। নতুন করে জলমগ্ন বহু এলাকা । বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯।
পাইলিনের জেরে প্রবল বৃষ্টি। তার ওপর আবার বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা এখন জলের তলায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বন্যা পরিস্থিতির আপডেট--
পাইলিনের জেরে প্রবল বৃষ্টি। তার ওপর আবার বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা এখন জলের তলায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বন্যা পরিস্থিতির আপডেট--
ফের জল ছাড়া নিয়ে চাপানউতোর। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি সত্ত্বেও ফের ডিভিসি ও গালুডি প্রকল্প থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আজ সকাল নটায় ডিভিসি থেকে তেতাল্লিস হাজার কিউসেক এবং গালুড়ি থেকে ষাট হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। এর জেরে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন করে জল ছাড়া হয়নি।
রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়। জানিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বন্যায় মৃতদের পরিবারপিছু দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের যুগ্ম সচিবের অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়েই গালুডি ও ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছিল। জল ছাড়ার বিষয়ে তাঁদেরকেও কোনও তথ্য জানানো হয়নি বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন হাই পাওয়ার্ড কমিটিও।
পূর্ব মেদিনীপুর--পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। তমলুকের বেশ কিছু এলাকা এখনও জলের তলায়। ত্রান ও উদ্ধারকাজ নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ মানুষের মনে। পাঁশকুড়ায় কংসাবতী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী। সুবর্ণরেখার জল ঢুকে পড়ায় গোপীবল্লভপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বিপন্ন৷ গতকাল কোলাঘাটে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ বিলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা৷
পশ্চিম মেদিনীপুর- পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি
হয়েছে। জেলার বেশিরভাগ এলাকা থেকেই নামতে শুরু করেছে জল। নয়াগ্রাম,
গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইলের অবস্থা বেশ ভাল। কয়েকটি নীচু এলাকায় জল থাকলেও
বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষজন। তবে ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণার অবস্থা
এখনও স্বাভাবিক নয়। কংসাবতীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন দাসপুরের প্রায় তিরিশটি
গ্রাম। জলমগ্ন ঘাটালের বারোটি ওয়ার্ড। আজ বন্যা পরিস্থিতি পরিস্থিতি
পরিদর্শনে ঘাটাল ও দাসপুরে যাচ্ছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
হুগলি- হুগলির আরামবাগে বন্যা পরিস্থিতি একইরকম। দামোদর, রূপনারায়ণ,
মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল কমলেও গ্রামের মধ্যে থেকে জল এখনও সরেনি। ক্ষতিগ্রস্ত
কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দুর্গত মানুষজনের।
জলবন্দি প্রায় ১০ হাজার পরিবার। খানাকুলের কয়েকটি এলাকায় ত্রাণশিবির খোলা
হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
হাওড়া- বন্যা পরিস্থিতি একই রকম। এখনও বহু এলাকায় জলের তলায়। গতকাল
হাওড়ায় গিয়ে বন্যা কবলিত গড়ভবানীপুর এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷