ম্যাসাঞ্জোর ও তিলপাড়া ব্যারেজ জল ছাড়ায় পরিস্থিতির অবনতি রাঢ়বঙ্গে
ম্যাসাঞ্জোর ও তিলপাড়া ব্যারেজ জল ছাড়ায় পরিস্থিতির অবনতি হল রাঢ়বঙ্গে। ময়ূরাক্ষীর জলে ভাসছে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। ফুঁসছে কুঁয়ে, ব্রাহ্মণী, সিদ্ধেশ্বরী।
ওয়েব ডেস্ক: ম্যাসাঞ্জোর ও তিলপাড়া ব্যারেজ জল ছাড়ায় পরিস্থিতির অবনতি হল রাঢ়বঙ্গে। ময়ূরাক্ষীর জলে ভাসছে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। ফুঁসছে কুঁয়ে, ব্রাহ্মণী, সিদ্ধেশ্বরী।
জল ছাড়ছে তিলপাড়া ব্যারেজ। ফুঁসছে ময়ূরাক্ষী। আর এর গুণাগার দিচ্ছেন বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
ঝাড়খণ্ডে উত্পত্তির পর এই পথেই রাজ্যে ঢোকে ময়ূরাক্ষী। ঝাড়খণ্ডে ম্যাসাঞ্জোর জলাধারে প্রথমে তার স্রোত নিয়ন্ত্রিত হয়। সিউড়ির কাছে ম্যাসাঞ্জোরে আরও একপ্রস্ত লাগাম পড়ায় তিলপাড়া বাঁধ। কিন্তু, ম্যাসাঞ্জোর ও তিলপাড়া জল ছাড়ায় ময়ূরাক্ষী এখন কার্যত লাগামছাড়া।
যে কোনও মুহূর্তে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। নদী এলাকায় জারি লাল সতর্কতা।
ফুঁসছে সিদ্ধেশ্বরী ও কুয়ে নদীও। বইধারা ব্যারেজের জলের চাপে ভেঙে পড়েছে ব্রাহ্মণী নদীর বাঁধ। বাঁধ ভাঙার ফলে ও জল ছাড়ায় লাভপুরের বিভিন্ন গ্রাম এবং রামপুরহাট দুই নম্বর ব্লকের বেশকয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বীরভূম পেরিয়ে ময়ূরাক্ষী নদী পৌছচ্ছে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। বন্যায় কান্দির ভয়াবহ পরিস্থিতি। হিজল, ভরতপুর, খড়গ্রাম, নবগ্রাম কার্যত জলের তলায়। নবগ্রামে আগেই ভেঙেছে নদীবাঁধ। বন্ধ কান্দি-সালার রাজ্য সড়কও। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে দুর্গতদের।