বানভাসী দুই মেদিনীপুরে অমিল ত্রাণ

জলে ভাসছে দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও পটাশপুরের বহু গ্রাম প্লাবিত। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণাসহ বিভিন্ন এলাকা। সমস্যা বেড়েছে ডিভিসি জল ছাড়ায়।  গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টি তো ছিলই। সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জল। ফল, একমাসে দু-দুবার বন্যা দেখল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া। বাঁকসি নদীর খাল ভেঙে রাধাবন, নরাই, দুমদান, ভগতপুর, আমদান, হটেশ্বর, মুড়িবনসহ প্রায় কুড়িটি গ্রাম জলের তলায়। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি। ডুবে গেছে কয়েকশ একর জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন, ধান, সবজি ও মাছচাষিরা। আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। অভিযোগ, তারপরও প্রশাসনিক স্তরে কোনও তত্‍পরতাই নেই। মিলছে না ত্রাণও।

Updated By: Aug 2, 2013, 10:02 AM IST

জলে ভাসছে দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও পটাশপুরের বহু গ্রাম প্লাবিত। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণাসহ বিভিন্ন এলাকা। সমস্যা বেড়েছে ডিভিসি জল ছাড়ায়।  গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টি তো ছিলই। সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জল। ফল, একমাসে দু-দুবার বন্যা দেখল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া। বাঁকসি নদীর খাল ভেঙে রাধাবন, নরাই, দুমদান, ভগতপুর, আমদান, হটেশ্বর, মুড়িবনসহ প্রায় কুড়িটি গ্রাম জলের তলায়। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি। ডুবে গেছে কয়েকশ একর জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন, ধান, সবজি ও মাছচাষিরা। আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। অভিযোগ, তারপরও প্রশাসনিক স্তরে কোনও তত্‍পরতাই নেই। মিলছে না ত্রাণও।
একই অবস্থা পটাশপুর এক নম্বর ব্লকের। কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে ডেবরা-পটাশপুর রুটের প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা জলের তলায় চলে গেছে। বাগুই খালের পার ভাঙায় অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীবাজার, নইপুর, বিশ্বনাথপুর, কনকপুর, মাধবপুরসহ প্রায় দশটি গ্রাম। প্রশাসন আগাম সতর্কতা জারি না করায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
 
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর, ঘাটালের বেশিরভাগ এলাকাই ডুবে গেছে জলে। কংসাবতী ও শিলাবতী নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ঘাটাল পুরসভার বারোটি ওয়ার্ডই জলে ভাসছে। প্লাবিত একশ আশিটির মতো গ্রাম। বিপাকে পড়ে বেশিরভাগ মানুষই স্থানীয় স্কুল এবং বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে নৌকা পাঠানো হয়েছে। খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির। বিলি করা হচ্ছে শুকনো খাবার, ত্রিপল। বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার মানুষের অবশ্য দাবি, প্রশাসনের তরফে কিছুই মেলেনি।  
 
 

.