পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ কৃষকদের
নিয়তির পরিহাস বোধহয় একেই বলে! কৃষকদের সংগঠিত করে এক সময় যে অধিগৃহীত জমিতে উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূল, পালাবদলের পর এখন তারাই সেখানে কৃষক বিক্ষোভের মুখে। যাঁকে ঘিরে কৃষক অসন্তোষ তীব্র হচ্ছে, তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে জমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ এবং বর্তমানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কৃষকরা।
নিয়তির পরিহাস বোধহয় একেই বলে! কৃষকদের সংগঠিত করে এক সময় যে অধিগৃহীত জমিতে উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূল, পালাবদলের পর এখন তারাই সেখানে কৃষক বিক্ষোভের মুখে। যাঁকে ঘিরে কৃষক অসন্তোষ তীব্র হচ্ছে, তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে জমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ এবং বর্তমানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষক বিক্ষোভের জেরে ইতিমধ্যেই আটকে গিয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বামুনিয়া গ্রামের কৃষকদের অভিযোগ, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ তাঁদের ঠকিয়ে রাতের অন্ধকারে জলাজমি ভরাট করছে। প্রতিবাদে পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রায় ৪৭ একর জমিকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল শুরু। মহিষাদলের ইটামগরা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বামুনিয়া গ্রামে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত এই জমি। ২০০১ সালে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ জমি অধিগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ২০০৬ সালের মধ্যে প্রায় ২০০ কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। প্রতি ডেসিমেল ৪,৪০০ টাকা দরে ক্ষতিপূরণ পান কৃষকরা। অধিগৃহীত জমির মধ্যে কৃষিজমির পাশাপাশি জলাজমি ও বাস্তুজমিও ছিল। ২০০৮ সালে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ জলাজমি ভরাট করতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আরও বেশি জমির দাম চেয়ে আন্দোলন শুরু করে। তত্কালীন পর্ষদ চেয়ারম্যান লক্ষ্মণ শেঠ ছিলেন এই আন্দোলনের লক্ষ্য।
কিন্তু পরিস্থিতির ফেরে তৃণমূল সমর্থক সেই কৃষকরাই এখন শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, আড়াই লক্ষ টাকা ডেসিমেল দরে জমির দাম দিতে হবে। কৃষকদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে জলাজমি ভরাট করছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। প্রতিবাদে বুধবার রাতে ওই জমিতে পর্ষদের উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় জেরে এলাকায় তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা।