বর্ধমানের গলসিতে ফের আত্মঘাতী কৃষক

রাজ্যে দেনার দায়ে আত্মহত্যা করলেন আরও একজন কৃষক। এই নিয়ে পরপর তিনদিন তিনজন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার হরিপালের গণেশ দুর্লভ এবং বুধবার কালনার উপলতি গ্রামের বচ্চন বাস্কের পর, বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মারা গেলেন সুশান্ত ঘোষ। বর্ধমানের গলসি থানার হিট্টা গ্রামের ধানের উপযুক্ত দাম না-পেয়ে সোমবার বিষ খেয়েছিলেন তিনি। তারপর বছর পঁয়ত্রিশের ওই কৃষককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। 

Updated By: Jan 19, 2012, 03:13 PM IST

রাজ্যে দেনার দায়ে আত্মহত্যা করলেন আরও একজন কৃষক। এই নিয়ে পরপর তিনদিন তিনজন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার হরিপালের গণেশ দুর্লভ এবং বুধবার কালনার উপলতি গ্রামের বচ্চন বাস্কের পর, বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মারা গেলেন সুশান্ত ঘোষ। বর্ধমানের গলসি থানার হিট্টা গ্রামের ধানের উপযুক্ত দাম না-পেয়ে সোমবার বিষ খেয়েছিলেন তিনি। তারপর বছর পঁয়ত্রিশের ওই কৃষককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। 
রাজ্যে এই নিয়ে গত ৮ মাসে ২৪ জন কৃষকের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটল।
রাজ্য জুড়েই ধানের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। সুশান্ত বাবুর পরিবারের অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে পারেননি তিনি। চাষের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন প্রচুর। সঠিক মূল্যে ধান বিক্রি না হওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা।

৭ বিঘা নিজের ও ৭ বিঘা ভাগে মোট ১৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন সুশান্ত ঘোষ। গোলায় ধান উঠলেও, সঠিক মূল্য না পাওয়ায় প্রায় কিছুই বিক্রি করে উঠতে পারেননি তিনি।
কৃষকের আত্মহত্যার মিছিল ক্রমাগত দীর্ঘ হতে দেখা গেলেও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে আত্মঘাতী কৃষকদের পরিবারের পক্ষ থেকে। রাজ্য প্রশাসনকে বারবার উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিরোধীরা। এমনকি সরব হয়েছেন শরিক কংগ্রেসও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কৃষক আত্মহত্যার কথা স্বীকার করতেই রাজি নয় রাজ্য সরকার।

.