প্রাথমিকে টাকার বিনিময়ে চাকরির টোপ, ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
প্রাথমিকে পঁয়তাল্লিশ লাখ পরীক্ষার্থী। পঁয়ত্রিশ হাজার আসন। প্রাথমিকে চাকরির শিঁকে ছিঁড়তে ভরসা রাজু স্যার আর পিয়ালি ম্যাডাম। পরীক্ষার আগে অ্যাডমিটের ফটোকপি আর দশ হাজার টাকা দিলেই চাকরির সুযোগ। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিল চব্বিশ ঘণ্টা।
প্রাথমিকে পঁয়তাল্লিশ লাখ পরীক্ষার্থী। পঁয়ত্রিশ হাজার আসন। প্রাথমিকে চাকরির শিঁকে ছিঁড়তে ভরসা রাজু স্যার আর পিয়ালি ম্যাডাম। পরীক্ষার আগে অ্যাডমিটের ফটোকপি আর দশ হাজার টাকা দিলেই চাকরির সুযোগ। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিল চব্বিশ ঘণ্টা।
আজ দিনিভর শহর,মফস্বল, গ্রামের ছবিটা ছিল এক রকম। রাস্তা ঘাটে পরীক্ষার্থীদের ভিড়। নাকাল হলেন অনেকেই। অ্যাডমিট কার্ড হাতে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যখন ভিড় জমিয়ে ছিলেন চাকরি প্রত্যাশী লাখ লাখ যুবক যুবতী ঠিক তখনই দূর্গানগরে একটি জব প্লেসমেন্ট সেন্টারে দেখা গেল অন্যচিত্র। ঋষি প্লেসমেন্ট নামক এই সংস্থাটিতে জমা পড়েছে বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড। ভাড়া বাড়িতে ঋষি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার নাকি টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকে চাকরীর ব্যবস্থা করেন। এই রাজু ব্যানার্জির সঙ্গী এক মহিলা। নাম পিয়ালী মুখার্জি। রাজুর এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন তিনি। তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফোনে কথপোকথনে রাজু জানালেন অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে কখনও ২০ কখনও বা ১০ হাজার টাকা জমা দিলেই মিলবে প্রাথমিকে চাকরির সুযোগ।
শুধু প্রাথমিকেই নয়, পুলিস সূত্রে খবর এর আগেও একবার প্রতারণার দায়ে ধরা পড়েছিলেন রাজু।
চাকরির জন্য যাঁরা রাজুর পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। পুলিসের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। আসলে এই চক্রের শিকার বিস্তৃত অনেক গভীরে।