৩-৪ দিন ধরে বাবার মৃতদেহ আগলে বসে রইল ছেলে-মেয়ে
ওয়েব ডেস্ক: ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। এবার দুর্গাপুরে। বাড়িতেই অন্তত ৩-৪ দিন ধরে বাবার দেহ আগলে বসে রইল ছেলে-মেয়ে। দুজনই মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবা যে মৃত, সে হুঁশ ছিল না তাঁদের। প্রচন্ড দুর্গন্ধে টনক নড়ে প্রতিবেশীদের। পুলিস এসে উদ্ধার করে দেহ।
রবিনসন স্ট্রিট, পার্থ-দেবযানী। ফিরে এল সেই পুরনো স্মৃতি। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের কাছেই আলাউদ্দিন খান বীথি। ভিড় এই দত্ত বাড়ি ঘিরে। কয়েকদিন ধরেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।শুক্রবার এই বাড়ির মধ্যে ঢুকে চোখ কপালে ওঠে সবার। ঘরের মধ্যে খাটের ওপর পড়ে ছিল বৃদ্ধ করুণাময় দত্তের পচাগলা দেহ। পাশেই বসে ছেলে সুদীপ্ত-মেয়ে স্বস্তিকা, দুজনই। ব্যবহার এমন, যেন সব নর্মাল।
পুলিস আসে। দেহ বের করা হয়। তখনও পাশে পাশে স্বস্তিকা-সুদীপ্ত। কখনও ছুটে যাচ্ছেন দেহের কাছে, কখনও আবার বাড়ির গেটেই ঠায়ে দাঁড়িয়ে।অঙ্কে এমএসসি পাশ, বছর সাতচল্লিশের স্বস্তিকা। পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। তবে এখন সে সব অতীত। বাজারহাট থেকে বাড়ির সমস্ত কাজ। সবই একাহাতে করতেন করুণাময়বাবুর স্ত্রী, মণীষা দত্ত। চার-পাঁচ দিন আগে মাথা ফেটে যাওয়ায়, হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। যত কাণ্ড এরপরই।
মাঝের কদিন বাড়ির কারোর খাওয়াও হয়নি। সন্দেহ, প্রতিবেশীদের। এদের এখন কীভাবে সাহায্য করা যায়, সেটাই বুঝতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। আত্মীয়রা ফিরেও দেখে না। বাড়িতে আর কেউ নেই। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে দু-দুটি মানুষের ভবিষ্যত।