জাঁকজমকে কলকাতাকে টেক্কা দিচ্ছে জেলার পুজো
কে বলে, যত জাঁকজমক সব কলকাতার পুজোয়? গুড-বেটার-বেস্টের দৌড়ে সামিল কিন্তু জেলাও। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। সকাল-সন্ধে এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে দৌড়। মহাব্যস্ত দর্শনার্থীরা।
ওয়েব ডেস্ক: কে বলে, যত জাঁকজমক সব কলকাতার পুজোয়? গুড-বেটার-বেস্টের দৌড়ে সামিল কিন্তু জেলাও। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। সকাল-সন্ধে এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে দৌড়। মহাব্যস্ত দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন- প্রাণের বোধন ঘটিয়ে মানবিকতার বার্তা নার্সিংহোমের
পুজোর উন্মাদনা এখনই তুঙ্গে। পথেঘাটে জনস্রোত। এতদিন ধরে স্বপ্নের ভিতে দাঁড় করিয়ে, একটু একটু করে গড়ে তোলা থিমের প্রাসাদ, এবার পরীক্ষার মুখে। পাস না ফেল, রায় জনতার।
বকুলতলা 'উই দ্য গ্রিন', বসিরহাট
বসিরহাটের নৈহাটি বকুলতলার উই দ্য গ্রিনের পুজো এবার পা দিল তিরিশ বছরে। থিম এখানে ময়ূর।
দেশের জাতীয় পাখি দিনদিন অবলুপ্তির পথে। এ নিয়েন সচেতনতা বাড়াতেই এমন থিমের ভাবনা।
যুগ শান্তি কমিটি, বাদুড়িয়া
সাতাশ তম বর্ষে পড়ল বাদুড়িয়ার ঈশ্বরীগাছা গ্রামের যুগ শান্তি কমিটির দুর্গাপুজো। গুজরাটের শিবমন্দিরের আদলে মণ্ডপ।
নবশ্রী সঙ্ঘ, বাদুড়িয়া
থিম গুজরাটের রাজবাড়ি। একে ঘিরেই সেজে উঠেছে বাদুড়িয়ার বনশ্রী সঙ্ঘের পুজো। এবার সত্তর বছরে পড়ল এই পুজো।
ইংস্টার ক্লাব, বাদুড়িয়া
বাদুড়িয়া পশ্চিম পাড়ার ইংস্টার ক্লাবের দুর্গাপুজো এবার তেত্রিশ বছরে পড়ল। টিন, প্লাই ও কাঠের গুঁড়ো দিয়ে নেপালের বৌদ্ধ তাম্র মন্দিরের অনুকরণে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।
মুক্তি সঙ্ঘ, বাদুড়িয়া
উপকরণ-- প্লাই, থার্মোকল, চট। এর ব্যবহারেই দক্ষিণ ভারতের এক মন্দিরের আদলে এমন তাক লাগানো মণ্ডপের সৃষ্টি বাদুড়িয়ার মুক্তি সঙ্ঘে।
আলোকসজ্জাও চোখধাঁধানো।
বিবেকানন্দ সঙ্ঘ, বাদুড়িয়া
বাদুড়িয়া মাথাভাঙায় স্কুল মাঠে বিবেকানন্দ সঙ্ঘের পুজো এবার আঠাশ বছরে পড়ল। এখানে থিম টাইটানিক।
আরও পড়ুন- শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো
ওদিকে মালবাজারের দিকে চোখ ফেরালে, সেখানেও অনবদ্য শিল্পসৃষ্টি।
ক্রান্তি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন, মালবাজার
ক্রান্তি বাজারের পুজো এবার বিগ বাজেটের। ক্রান্তি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই বিশেষ আয়োজন। শিল্পীর কল্পনাই এখানে বাস্তবের রূপ পেয়েছে।...
আলোকসজ্জাও নজরকাড়া।
নেতাজি বয়েজ ক্লাব, মালবাজার
নিউ ক্রান্তির নেতাজি বয়েজ ক্লাবের মণ্ডপ এবার কাল্পনিক মণ্ডপের আদলে গড়া। প্রতিমার দৈর্ঘ্য ষোল ফুট।
মণ্ডপের সামনে দু কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে চন্দননগরের চোখধাঁধানো লাইটিং। এছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে রয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।