নতুন গেরোয় নবান্ন, পানীয় জলের সঙ্গে যানবাহনের জোড়া সমস্যায় জেরবার কর্মীরা
নতুন গেরোয় নবান্ন। এমনিতেই পানীয় জলের সঙ্কট, লিফট, জমা জলের সমস্যা রয়েছে। এমনকি পাউচে সরবরাহ করা পানীয় জলের বিশুদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এর ওপরে যানবাহনের অসুবিধায় নবান্নয় পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছেন সাক্ষাতপ্রার্থীরা।
নতুন গেরোয় নবান্ন। এমনিতেই পানীয় জলের সঙ্কট, লিফট, জমা জলের সমস্যা রয়েছে। এমনকি পাউচে সরবরাহ করা পানীয় জলের বিশুদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এর ওপরে যানবাহনের অসুবিধায় নবান্নয় পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছেন সাক্ষাতপ্রার্থীরা।
কখনও লিফট বিভ্রাট, কখনও জমা জল। সঙ্গে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট। একের পর এক সমস্যায় জেরবার নবান্ন। গোদের ওপর বিষফোঁড়া পর্যাপ্ত যানবাহনের অসুবিধা। এর জেরে নবান্নয় পৌঁছতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মন্ত্রী আমলাদের সঙ্গে দেখা করতে আসা মানুষজনের।
এই প্রথম সাক্ষাতপ্রার্থীদের জন্য সঙ্গে সঙ্গে সচিত্র পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যানবাহনের সমস্যায় দেখা নেই সাক্ষাতপ্রার্থীদের।
পানীয় জলের সঙ্কট সামাল দিতে নবান্নয় জলের প্যাকেট বিলি করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। কিন্তু, সেই প্যাকেটে কোথাও লেখা নেই উৎপাদনের তারিখ বা মেয়াদ ফুরনোর সময়সীমা। ফলে, পাউচের জল নষ্ট হয়ে গেছে কিনা তা জানারও উপায় নেই।
উপায় না থাকায় সরকারি কর্মীরা এই জলই খেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তোষ ছড়ালেও প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না তাঁরা।
জল সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া পুরসভাও। নবান্নর তরফে দু লক্ষ গ্যালন জল চাওয়া হয়েছিল পুরসভার কাছে। কিন্তু হাফ ইঞ্চি ফেরুলের লাইন দিয়েছিল হাওড়া পুরসভা। তা পর্যাপ্ত নয়। বুধবার চিফ ইঞ্জিনিয়র এবং অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র মমতা জয়সওয়াল। সমস্যার সমাধানে দেড় ইঞ্চি ফেরুলের লাইন দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
তবে এরপরেও জলের সঙ্কট মিটবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।