নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসার থেকেই মাধ্যমিকে নবম হয়ে চমক মালদহের মানসীর
এরাই আঁধার ঘরের প্রদীপ। বাবার সেলুনের দোকান। সামান্য রোজগার। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসার থেকেই মাধ্যমিকে নবম হয়ে চমকে দিয়েছে মালদহের গাজোলের মানসী প্রামানিক। প্রাপ্ত নম্বর ছশো একাত্তর। নজর কেড়েছে সাহাপুরের সান্ত্বনা মন্ডলও । অভাবের তাড়নায় মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বাবা, মা। জেদি মেয়ে বিয়ে না করে পড়াশুনাকেই বেছে নিয়েছে। সাফল্যও এল।
ওয়েব ডেস্ক: এরাই আঁধার ঘরের প্রদীপ। বাবার সেলুনের দোকান। সামান্য রোজগার। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসার থেকেই মাধ্যমিকে নবম হয়ে চমকে দিয়েছে মালদহের গাজোলের মানসী প্রামানিক। প্রাপ্ত নম্বর ছশো একাত্তর। নজর কেড়েছে সাহাপুরের সান্ত্বনা মন্ডলও । অভাবের তাড়নায় মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বাবা, মা। জেদি মেয়ে বিয়ে না করে পড়াশুনাকেই বেছে নিয়েছে। সাফল্যও এল।
সংসারে অভাব,অনটন।তার মধ্যেই স্বপ্ন দেখা। স্বপ্ন দেখা আকাশ ছোঁয়ার। বাঁধার পাহাড় পেরিয়ে স্বপ্ন সফল করেছে মানসী। বাবার নিরঞ্জন প্রামানিকের সামান্য সেলুনের দোকান। হাজারো প্রতিকূলতা। অভাবের সংসারের স্বপ্নের দ্বীপ জ্বেলেছে মানসী। মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য। মালদার গাজোল শ্যামসুখী হাইস্কুলের ছাত্রী মানসীর প্রাপ্ত নম্বর ছশো ছিয়াত্তর। মাধ্যমিকে নবম হওয়া মানসীর লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া।
মালদার সাহাপুরের এই বাড়িতে প্রতিবেশীদের উঁকিঝুঁকি। এলাকার গৌরব স্বান্তনা মন্ডল। বাবা দিনমজুর। মা পরিচারিকা। সেই রোজগেরেই দিনগুজরান। অভাবের ফাঁসে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন বাবা ,মা। জেদি মেয়ে রুখে দাঁড়িয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেনি। বিয়ে নয়, পড়াশুনা করে স্বাবলম্বী হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য স্বান্তনা। মেয়ের জেদের কাছে হার মেনেছে পরিবার। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সসম্মানেই উত্তীর্ণ হয়েছে স্বান্তনা।
আগামী দিয়ে শিক্ষিকা হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে চায় মেয়ে। স্বান্তনা,মানসীরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মুখ। লড়াইয়ের প্রেরনা।