স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতায় বন্ধ পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালের এসএনসিসিইউ বিভাগের কাজ
জেলা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে তৈরি করা হবে এসএনসিসিইউ বিভাগ। সেই মতো কাজও শুরু হয়। কিন্তু এখনও চালু হয়নি সেই বিভাগ। ফলে সদ্যোজাতের চিকিত্সা নিয়ে চিরাচরিত সমস্যা এখনও অব্যাহত। প্রশ্ন উঠছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাই কি এর একমাত্র কারণ?
জেলা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে তৈরি করা হবে এসএনসিসিইউ বিভাগ। সেই মতো কাজও শুরু হয়। কিন্তু এখনও চালু হয়নি সেই বিভাগ। ফলে সদ্যোজাতের চিকিত্সা নিয়ে চিরাচরিত সমস্যা এখনও অব্যাহত। প্রশ্ন উঠছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাই কি এর একমাত্র কারণ?
শিশুমৃত্যু ঠেকাতে ২০০৩ সালে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে চালু হয় এনসিসিইউ বা নিওনেটাল চাইল্ড কেয়ার ইউনিট। তারপর থেকেই সদ্যোজাতদের চিকিত্সায় মিলেছে আশানুরূপ ফল। কয়েকমাস আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই বিভাগের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেইমতো কাজ শুরু হলেও এখনও তা সম্পূর্ণ হয়নি।
এরইমধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে পুরুলিয়া সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি এসএনসিসিইউ বা স্পেশাল নিওনেটাল চাইল্ড কেয়ার ইউনিট তৈরির কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা আনুযায়ী বত্রিশ শয্যা বিশিষ্ট ওই বিভাগে থাকবে সদ্যোজাতদের চিকিত্সার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামত এসএনসিসিইউ তৈরির কাজও শুরু হয়। বিভাগটির জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং ষোলোটি শয্যারও ব্যবস্থা হয়েছে। তবে এখনও বাকি রয়েছে জেনারেটর, অক্সিজেন, টেবিল চেয়ারের মতো কয়েকটি সরঞ্জামের। আর এই সব সামান্য জিনিসের অভাবেই এখনও পর্যন্ত চালু হচ্ছে না অত্যন্ত জরুরি এই বিভাগটি। যারফলে প্রায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে তিন থেকে চারটি শিশুর।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সব কিছু জানা সত্ত্বেও কেন শিশুমৃত্যু নিয়ে এখনও উদাসীন জেলা স্বাস্থ্যদফতর? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও স্রেফ উদাসীনতার কারণেই কি চালু হচ্ছে না অত্যন্ত জরুরি এসএনসিসিইউ বিভাগটি?