ভোটের আগেই গণনাকেন্দ্র নিয়ে বিবাদ দার্জিলিঙে
এখনও হয়নি ভোট। তার আগেই বিবাদ গণনাকেন্দ্র নিয়ে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্র শিলিগুড়িতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে জেলার রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়েছে অসন্তুষ্ট গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপিও।দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা এতদিন হত সেন্ট জোসেফ স্কুল, নর্থ পয়েন্টে।
এখনও হয়নি ভোট। তার আগেই বিবাদ গণনাকেন্দ্র নিয়ে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্র শিলিগুড়িতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে জেলার রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়েছে অসন্তুষ্ট গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপিও।দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা এতদিন হত সেন্ট জোসেফ স্কুল, নর্থ পয়েন্টে।
দু হাজার নয়েও তাই হয়েছিল। কিন্তু স্কুলে গণনাকেন্দ্র না করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। যা আদালতে মঞ্জুর হয়ে যায় দু হাজার দশে।
এই পরিস্থিতিতে এ বছর দার্জিলিং কেন্দ্রের ভোট গণনা শিলিগুড়ি স্কুলে করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে
জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে, মোট নটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গত বাইশে ফেব্রুয়ারি ও সাতই মার্চ, দু-দফায় বৈঠক করেন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকরা। বৈঠকে শিলিগুড়ি কলেজকে গণনাকেন্দ্র করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পিছনে তাঁদের যুক্তি,
দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং--এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট এক জায়গায় করে গণনার মতো বড় পরিকাঠামো দার্জিলিংয়ে আর কোথাও নেই।
বাকি সমস্ত জায়গা থেকে দার্জিলিংয়ে সড়কপথে ইভিএম পৌছতে যত সময় লাগবে, তার চেয়ে কম সময়ে,অনেক সহজে সেগুলি শিলিগুড়ি পৌছে দেওয়া সম্ভব।
কিন্তু এখানেই বাধ সেধেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাঁদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন তথা নির্বাচনী আধিকারিকদের খাড়া করা যুক্তিগুলির ভিত্তিহীন। মোর্চার বক্তব্য, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সুবিধে করে দিতেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে বিজেপিও। রাজনৈতিক মহলের মত, আসলে তাঁদের ইশারা শাসক দল তৃণমূলের দিকে। এনিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠিও দিয়েছে নোর্চা নেতৃত্ব। তাঁদের বৈঠকে ডাকা হয়নি বলেও অভিযোগ জানিয়েছে মোর্চা।
ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে চিঠি দিয়ে এই সমস্ত তথ্য জানিয়েছেন জেলার নির্বাচনী আধিকারিক। এবিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জিও করেছেন তিনি। এই অবস্থায় পাহাড়ের ভোটগণনা কোথায় হয়, এখন সেদিকে তাকিয়ে সব পক্ষ।