এক স্বপ্নের বাস্তবায়ন, এক স্বপ্নের অপমৃত্যু
একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আরেকটির অপমৃত্যু। একইসঙ্গে দুটি চরম বিপরীত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। একদিকে, রাজ্যের কুড়িতম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল আলিপুরদুয়ার। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের আশা-আকাঙ্খায় ইতি টেনে প্রস্তাবিত এইমস পাড়ি দিল কল্যাণীতে।
একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আরেকটির অপমৃত্যু। একইসঙ্গে দুটি চরম বিপরীত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। একদিকে, রাজ্যের কুড়িতম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল আলিপুরদুয়ার। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের আশা-আকাঙ্খায় ইতি টেনে প্রস্তাবিত এইমস পাড়ি দিল কল্যাণীতে।
বুধবারই নতুন জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আলিপুরদুয়ার। পর্যটন আর চা শিল্পকে হাতিয়ার করে উন্নয়নের নতুন স্বপ্নে বিভোর জেলাবাসী। কয়েকঘণ্টার দূরত্বে উত্তর দিনাজপুরের ছবিটা সেখানে হতাশায় মোড়া।
দুহাজার সাতে, প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে, রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে অত্যাধুনিত গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তত্কালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। কিন্তু, দু`দুটো লোকসভা ভোটের পর শেষপর্যন্ত ঠাণ্ডা ঘরে চলে গেল রায়গঞ্জের স্বপ্ন।
কেন এইমস হল না রায়গঞ্জে? চলছে রাজনৈতিক তরজা। বামেদের দাবি, কেন্দ্রেরই সদিচ্ছা ছিল না। কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, তত্পরতা দেখায়নি তত্কালীন বাম সরকার। দুহাজার এগারোয় পালাবদলের পর, নদিয়ার কল্যাণীতে এইমস তৈরির প্রস্তাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তি ছিল রায়গঞ্জে জমি পাওয়া যাচ্ছে না। সত্যিই কি জমিজটে আটকে গেল প্রস্তাবিত প্রকল্প?
কেউ কেউ দুষছেন দীপা দাশমুন্সি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক স্বার্থের সংঘাতকে। কারণ যাই হোক, এইমসের অপমৃত্যুতে উত্তরবঙ্গে দানা বাঁধছে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ।