শরিকি কাজিয়ায় সরগরম মুর্শিদাবাদ
বেশ কিছুদিন ধরেই দুই জোটশরিকের কাজিয়ায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার সেই কাজিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মুর্শিদাবাদে এক জনসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর নাম না করে তিনি বলেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের শক্ত জমি তাঁরা ছিনিয়ে নেবেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই দুই জোটশরিকের কাজিয়ায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার সেই কাজিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মুর্শিদাবাদে এক জনসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর নাম না করে তিনি বলেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের শক্ত জমি তাঁরা ছিনিয়ে নেবেন।
জনসভায় বেশিরভাগ তৃণমূল নেতারাই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।
তবে এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বও। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতা চলাকালীনই মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল নেতা সাগির হোসেনের অনুগামীরা। তাঁকে জনসভায় বলতে দিতে হবে, এই দাবিতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
অন্য দিকে শাসক জোটের দুই শরিকের এই তিক্ততার আবহের মধ্যেই ফের অধীর চৌধুরীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ দুটি বাইকে চেপে ছয় দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। তালা ভেঙে তারা কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
হামলাবাজদের দেখতে পেয়ে স্থানীয় মানুষ চিত্কার শুরু করলে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিস।
অধীর চৌধুরী এখন দিল্লিতে। এর আগেও তালা ভেঙে জেলা কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা হয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, দলের পক্ষ থেকে বারবার রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনকে নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।