জোট ভেঙে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস, সমস্যায় তৃণমূলও
জোট ছেড়ে একলা চলার এটাই ছিল প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস। সাফল্য পেলেও জোট ভাঙার ফল ভুগতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকেও।
জোট ছেড়ে একলা চলার এটাই ছিল প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস। সাফল্য পেলেও জোট ভাঙার ফল ভুগতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকেও।
ভুল ভাঙতে দু সপ্তাহও লাগল না। জোট ছেড়ে ভোটে লড়ার প্রথম পরীক্ষাতেই ধাক্কা খেল তৃণমূল নেত্রীর আত্মবিশ্বাস। অনেক কায়দা করেও মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীকে কাবু করা গেল না। মাত্র আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত আর একটি জেলা পরিষদ আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তৃণমূলকে। মালদাতেও প্রায় একই দশা। মুকুল রায় বসে থেকেও দলকে তেমন টেনে তুলতে পারলেন না। তুলনায় কিছুটা ভাল ফল হলেও দীপা দাশমুন্সির উত্তর দিনাজপুরেও তৃণমূল থাকল থার্ড ফোর্স হয়েই। তবে মুর্শিদাবাদ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কার্যত মুছে গেছে কংগ্রেস।
তৃণমূলের দাপটে এমনকী শঙ্কর সিংয়ের নদিয়াতেও কংগ্রেস কার্যত হারিয়ে গেল। তবু লোকসভা ভোটের দিকে চোখ রেখে বলাই যায়, অ্যাডভান্টেজ কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের ফলটা যে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, জোট না হলে বিধানসভা ভোটেও ফলটা অন্যরকম হতে পারত। তাতে লোকসভা ভোটের আগে দরকষাকষির সুযোগ অনেকটাই কমল তৃণমূলের।