বানভাসি জেলা পরিদর্শনে করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বানভাসি জেলা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। দুপুরে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর-আমতা হয়ে সোজা হুগলির পুরশুড়ায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ পুরশুড়া ব্লক অফিসে পৌছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই হাওড়া ও হুগলির জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন  তিনি।  সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ চাপা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা-দুর্যোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যে উনচল্লিশ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Updated By: Aug 1, 2015, 10:10 PM IST
বানভাসি জেলা পরিদর্শনে করলেন মুখ্যমন্ত্রী

ব্যুরো: বানভাসি জেলা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। দুপুরে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর-আমতা হয়ে সোজা হুগলির পুরশুড়ায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ পুরশুড়া ব্লক অফিসে পৌছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই হাওড়া ও হুগলির জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন  তিনি।  সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ চাপা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা-দুর্যোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যে উনচল্লিশ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি জেলায় জেলায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু রাজ্যে। মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার যাবেন ঝড় বিধ্বস্ত হাবড়ায়।

লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত রাজ্যের বিস্তির্ণ এলাকা। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে আরও খারাপ হতে পারে অবস্থা।
সরকারি হিসাব বলছে, অন্য বছরের থেকে এ বছর জুন-জুলাই মাসে ৬০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭ লাখ মানুষ। দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের।

পরিস্থিতি মোকাবিলায়  শুক্রবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে নিজে  বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি যাবেন ঝড় বিধ্বস্ত অশোকনগরে।

বিভিন্ন জেলায় নজর রাখতে মন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সাহায্য চাওয়া হচ্ছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশনের। বাঁধে জল ছাড়া হচ্ছে কি না পার্শবর্তী রাজ্য গুলির সঙ্গে তা নিয়ে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়ছে মুখ্যসচিবকে। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ডিভিসির সঙ্গে। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে কেন্দ্রকে।

.